পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচাৰ্য্য পিপ্পলাদের উপদেশ । ፃ ዓ য ইং চিকেতাৎ অমৃতস্য গোপা অবশ্চরন। পরে অন্যেন পশ্যন ৷৷ ৬৷৷৯৩ এই বিশ্বরূপ বস্ত্রের উভয়বিধ সূত্রের ( টান। ও পড়েন ) বিষয়, সেই অগ্নিই কেবল অবগত আছেন, ইহা অন্যে জানে না । যখন কালপ্রভাবে বৈদিক তত্ত্ব রিলুপ্ত হইয়া যায়, তখন অগ্নিই আবার সেই তত্ত্বসকলকে জীবের নিকট বলিয়া দিয়া থাকেন । ইনি সকলই জানেন এবং ইনিই অবিনাশী অমৃতের রক্ষক। ইনি যেমন নিম্ন ভুলোকে অগ্নিরূপে অবস্থিত, তদ্রুপ ইনিই আকাশে সূৰ্য্যরূপে অবস্থিত রহিয়া পৃথিবীর তাবৎ বস্তুকে নিরীক্ষণ করিতেছেন । প্রিয় পাঠক ! আপনারা বিবেচনা করিয়া দেখুন, এই মন্ত্র গুলি কি কখনও ভৌতিক জড়বস্তুর প্রতি প্ৰযুক্ত হইতে পারে ? এই প্ৰাণওরয়ি শক্তিই বিশ্বব্যাপক এবং বিশ্বের উপাদান । সৌরজগতে, প্রাণশক্তির প্রধান অভিব্যক্তি—তেজোরাশিপূৰ্ণ সূৰ্য্য ; এবং রয়িশক্তির প্রধান অভিব্যক্তি— জলীয় উপাদান বহুতুল চন্দ্ৰ । সূৰ্য্য যখন পূর্বদিঘুখে উদিত হইয়া অ্যাপন কিরণ-জাল বিকাণ করে, তখন উহার ময়খ-মালা পূর্বব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ, উদ্ধ, অধঃ-সকল দিকে বিকীর্ণ হইয়া, সকল পদার্থকে উদ্ভাসিত করিয়া তুলে। তখন সূৰ্য্য, চতুর্দিকে অবস্থিত পদার্থরাশি ও জীব-নিবাহের প্রাণশক্তিকে আপন রশ্মির সহিত সম্বন্ধ-ব্যাপ্ত-কারিয়া থাকেন। কেননা, যাবতীয় বস্তুর