পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচাৰ্য্য পিপ্ল্যলাদের উপদেশ । Ahdut 'd rair দেবযান মার্গের সাধন-প্ৰণালী অন্যপ্রকার। প্রথমতঃ, ইন্দ্ৰিয় বর্গের সংযম সাধন করিতে হইবে । চক্ষু-কর্ণাদি ইন্দ্ৰিয়বর্গ যেন যদৃচ্ছাক্রমে বাহা বিষয়-বর্গে ধাবিত না হইতে পারে, ইচ্ছামাত্রই যেন উহাদিগকে আত্ম-বশে লইয়া আসিতে পারা যায় ; সর্বদ এইরূপ অভ্যাস করা কীৰ্ত্তব্য। দ্বিতীয়তঃ, ব্ৰহ্মচৰ্য্য সাধন । কাম্যপ্ৰবৃত্তির দমন যেন আত্মায়ত্ত হয় এবং ওজোধাতু যেন রক্ষিত থাকে, এই বিষয়ে সর্বদা সাবধানতার সহিত মনঃসংযোগ রাখিতে হইবে। তৃতীয়তঃ, আত্মসত্তা যে সর্বত্র অবস্থিত, তদ্বিষয়ে নিয়ত প্ৰতীতি ও শ্রদ্ধা। রাখিতে হইবে । সকল কাৰ্য্যই যে কারণ-সত্তা হইতে অভিব্যক্তি, আত্মসত্তা বা কারণ-সত্তা হইতে যে কাহারই ‘স্বতন্ত্র”। সত্তা নাই ;—যাহাতে ঈদৃশ শ্রদ্ধা ক্ৰমেই গাঢ় হইতে থাকে, সর্ববাদ তাহার অনুশীলন করিতে হইবে । আত্ম-সত্তা ও অন্যান্য তাবৎ পদার্থের মধ্যগত সত্তা যে এক-ই, এই বোধ দৃঢ় ও স্থায়ী করিতে হইবে। এই প্রকার সাধকই প্ৰাণ-দশী সাধক। পিতৃব্যান-মার্গের সাধনা যেমন কাৰ্যাবর্গে নিবদ্ধ ; দেব-যান মাগের সাধনা তদ্রুপ নহে ; ইহা কাৰ্য্যবর্গে অনুসৃত কারণ-সত্তায় নিবদ্ধ। এই জন্যই পূর্বোক্ত পথটিকে চন্দ্ৰদ্বারা (কাৰ্য্যাত্মক-অংশ) শাসিত এবং দেবযান পথটীকে সুৰ্য্যদ্বারা ( কারণাত্মক-অংশ ), শাসিত বলিয়া, তত্ত্বদশীগণ নির্দেশ করিয়া থাকেন। দেবযান মার্গে গমন করিতে পারিলে, অভয়, অমৃত, অবিনাশী, সকলের আশ্ৰয়,