পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতরণিকা । • ' ३७ EL ALL Ae AALkMe LMALMLS LAeAeSeeA LALeLLLLL LLLLLLLALALLMLLALMLMLMMLSSL ELLSMLMLL LA LAAASAESAAAALA LALALALALAqMMMSk সকাম দ্রব্যাত্মিক-যজ্ঞ বৰ্জন করতঃ কেবল ব্ৰহ্মোদ্দেশে ভাবনাময় অন্তৰ্যাগের অনুষ্ঠানে রত থাকেন। তখন আর নাম রূপাত্মক অংশকে “স্বতন্ত্র’, স্বাধীন-বলিয়া অনুভূত করিতে পারা যায় না । তখন নাম রূপগুলিকে, সেই ব্ৰহ্ম-সত্তারই ঐশ্ব দ্য বা মহিমার পরিচায়করূপেই,-অনুভব করিয়া থাকেন । এই সাধনা বা সর্ব পদার্থে ব্ৰহ্মসত্তার অনুভব – অত্যন্ত দৃঢ় হইলে, অবশেষে কিঞ্চিৎ মাত্রও ভেদ-বুদ্ধি থাকে না ;—ঐশ্বৰ্য্যৰূপে ও আর অনুভৃতি থাকে না। একেবারে পূর্ণ ব্ৰহ্মাত্মবােধ হইতে থাকে। ঈদৃশ কেবল-জ্ঞানী । হয়। এমন কি সুষুপ্তি-সময়েও যেন আত্মাগ্নিতে প্ৰাণশক্তি হোম নিৰ্বাহ করিতেছে, এইরূপ উপদেশও দৃষ্ট হয়। কি জাগরণে, কি নিদ্রায়,--সৰ্ব্বাবস্থায় ও সর্বক্রিয়ায় এইরূপে ব্ৰহ্মাসকার অনুভব করিতে থাকিলে ক্ৰমেই অদ্বৈত-বোধ গাঢ় হয় ও বিষয়াসক্তি কমিয়া যায় । ঋগ্বেদ, জগৎ-সৃষ্টি ব্যাপারকে একটী পুরুষমেধযজ্ঞে পরিবর্তন করিয়া Tegš TSP a fff |

  • “তথা মনুষ্যাদিঘেব হিরণ্যগৰ্ভপৰ্যান্তেষু জ্ঞাৈিনশ্বৰ্য্যাদাভিব্যক্তি: পরেণ। পরেণ ভূয়সী ভবতি”-বেদান্ত ভাষ্য, ১৩॥১০ ছান্দোগ্য উপনিষদে আছে যে, ব্ৰহ্মলোকে যাইয়া সাধক পুত্ৰভ্ৰাতাপিতামাতা প্ৰভৃতির সঙ্কল্প করেন এবং তাহাদিগকে স্বতন্ত্র বস্তুরূপে প্ৰতীতি না করিয়া, উহাদিগকে ব্ৰহ্ম-সত্তারই ঐশ্বৰ্য্যরূপে অনুভব কর তঃ, ব্ৰহ্মানন্দে মগ্ন থাকেন । এই প্ৰকার অনুভবে কোন বস্তুরই স্বাতন্ত্রী-বোধ, ভেদবুদ্ধি * থাকে না । সকল বস্তুই ব্ৰহ্ম-সত্তারই ঐশ্বৰ্যারূপে, পরিচায়ক-চিহ্নরূপে অনুভূত হইতে থাকে। বিজ্ঞানভিক্ষু বেদান্ত-ভাষ্যে বলিয়াছেন যে,