পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৪০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচাৰ্য্য পিপ্ল্যলাদের উপদেশ । s মৃত্যুকালে, জীবের কৰ্ম্মক্ষয় বশতঃ, বাহিরের তাপশক্তি আর দেহস্থ উদানের ক্রিয়া উত্তেজিত করিতে সমর্থ হয় না । এই জন্য দৈহিক উন্মাও ক্ৰমে ক্ৰমে শান্ত হইয়া যায়। দৈহিক তপক্ষয় দেখিয়া লোকে, মুমুয়ূর্ণ ব্যক্তির মৃত্যু আসন্ন’ হইল, মনে করিয়া লয়। মৃত্যুকালে সূৰ্য্যাদি আধিদৈবিক পদার্থগুলি, আধ্যাত্মিক ইন্দ্ৰিয়-বগের কোন ক্রিয়ারই উত্তেজনা করিতে পারে না । সুতরাং ইন্দ্ৰিয়গুলি মনঃশক্তিতে উপসংহত হইয়া যায়! মনও স্বীয় বৃত্তি-সহ বুদ্ধিতে লীন হইয়া যায়। অবশেষে বুদ্ধির বিবিধ-বিজ্ঞানগুলিও প্ৰাণশক্তিতে ( উদান-ক্রিয়াতে, দৈহিক তেজের মধ্যে ) একাকার হইয়া বিলীন হইয়া যায় । এইরূপে, মৃত্যুকালে, চক্ষুকৰ্ণাদি বাহাইন্দ্ৰিয়বর্গ প্রথমতঃ বাহবিষয় পরিত্যাগ করিয়া, আন্তঃকরণে লীন হয় ; কেবল অন্তঃকারণে সংস্কাররূপে বিশেষ বিশেষ বোধগুলি জাগরদ্ধক থাকে । পরে, মনের এই ক্রিয়াগুলিও ( বিশেষ বিশেষ বিজ্ঞানগুলি ) প্ৰাণে বিলীন হইয়া যায় ; তখন আর বিশেষ কোন বোধ থাকে না ; কেবলমাত্র নিঃশ্বাস-প্ৰশ্বাস বহিতে থাকে এবং দেহে উষ্ণতা অনুভূত হইতে থাকে। এই উষ্ণতা, উদান বৃত্তির কার্য্য। প্রাণশক্তি, এই উদানবৃত্তির দ্বারা জীবকে যথাযোগ্য পরলোকে লইয়া যায়। যাদৃশ সংস্কার প্রাণশক্তিতে লীন হইয়াছিল,

  • সমুদয় ইন্দ্ৰিয়াশক্তি ও সংস্কারাদি উদানবৃত্তির মধ্যেই বীজৰূপে বিলীন থাকে। এই বীজই পুনর্জন্মের হেতু ।