পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৪০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপনিষদের উপদেশ । -al তাদৃশ সংস্কারের প্রভাবে, জীবের তদুপযুক্ত স্থানে গতি হয়। * । সেই স্থানে প্ৰাণশক্তির প্রথম অভিব্যক্তি হয় । অতএব আপনি দেখিতে পাইতেছেন যে, এক প্ৰাণশক্তি (স্পন্দন ), বাহিরে সূৰ্য্যাদিরূপে এবং দেহে অপানাদিবৃত্তি ও ইন্দ্ৰিয়াশক্তিরূপে, রূপান্তর গ্ৰহণ করিয়া অবস্থান করিতেছে * । যিনি, প্ৰাণশক্তির উৎপত্তি, উহার দেহে অবস্থান, সকল পদার্থের বিধারণ প্রভৃতি রহস্য বুঝিতে ও অনুভব করিতে সমর্থ হন, তিনি প্রাণশক্তির একত্ব বুঝিতে পারেন। ঈদৃশ ব্যক্তি, আপনার সত্তা ও প্রাণসত্তা যে এক-ই,”—এই অদ্বৈত-তত্ত্ব উত্তমরূপে অনুভব করিতে পারেন । এই একত্ব-ধান-পরায়ণ ব্যক্তির ইহলোকে অকালমৃত্যু ঘটে না, দেহান্তেও তিনি ব্ৰহ্মভূত হইয়া মুক্তিলাভ করেন। emig-n har rrur.Tmqabb Tj - rima -ringh --

  • যে শক্তি বাহিরে তেজ, বায়ু, আলোকাদিরূপে অবস্থিত, সেই শক্তিই দেহে দৈহিক সৰ্ব্বপ্রকার ক্রিয়ারূপে অবস্থিত। উভয়েরই মূল এক এবং একই শক্তি উভয়প্রকার বস্তুগুলিতে অনুপ্রবিষ্ট হইয়া আছে। শক্তির এই মহা একত্ব প্ৰাচীনকালে ভারতে বিশেষরূপে বিদিত ছিল । কিন্তু সকল ক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে চৈতন্য অবস্থিত, ইহাও ঋষিগণ ভুলেন নাই। ঋগ্বেদে এই জন্যই শক্তির বিকাশ মাত্ৰকেই “দেবা” বলা হইয়াছে। “একং ‘সৎ’ বিপ্ৰা বহুধা বদন্তি, অগ্নিং যমং মাতিরিশান মাহুঃ” ১১৬৪-ইহা ঋগ্ৰেদেরই আবিষ্কার। .