পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৪৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S68 উপনিষদের উপদেশ । জ্ঞানশক্তি ভেদে প্ৰাণের স্পন্দন, পঞ্চ স্থূল ভূত এবং ইন্দ্ৰিয় ও মন, এই নয়টা কলা। প্ৰাণীদিগের ভোজ্য ব্ৰীহা-যবাদি “অন্ন’ ও অন্ন হইতে উৎপন্ন সামর্থ্য,-এই একাদশ কলা। বৈদিকমন্ত্র, দ্রব্যাত্মিক ও ভাবনাত্মক যজ্ঞ,-এই চতুৰ্দশ কলা । এই যজ্ঞের ফলস্বরূপ লোকগুলি এবং সেই লোকে জীবের ভিন্ন ভিন্ন নাম গুলি ;-সৰ্বশুদ্ধ এই ষোড়শটী কলা । এই গুলিই “ষোড়শ কলা” নামে প্ৰসিদ্ধ। জীবদিগের অবিদ্যা-কাম-কৰ্ম্মবশতঃ এইসকল কলা সৃষ্ট হইয়াছে। পুরুষ-সত্তা হইতেই ইহারা অভিব্যক্ত হইয়াছে। পুরুষসত্তা ব্যতীত, ইহাদের স্বতন্ত্র সত্তা নাই বলিয়াই, ইহারা ‘অসত্য” । পুরুষ-সত্তার আশ্রয়েই ইহারা অবস্থিত থাকে । সমুদ্র জল সূৰ্য্য-কিরণদ্বারা আকৃষ্ট হইয়া মেঘাকার ধারণ করে এবং মেঘ হইতে সেই জল অভিবাৰ্ষিত হইয়া গঙ্গা, সিন্ধু, যমুনাদি নদীর জলে পতিত হয়। তখন আর তাহাকে সমুদ্রািজল বলা যায় না। তখন গঙ্গা, সিন্ধু, যমুনাদির জল বলিয়াই লোকে তাহাকে ব্যবহার করিয়া থাকে। এ অবস্থায় এই জলগুলি অবশ্যই সমুদ্রািজল হইতে “ভিন্ন’ বলিয়াই প্ৰতীত হইতে থাকে। কিন্তু স্বরূপতঃ এই জলগুলি সমুদ্রািজল ব্যতীত অন্য কিছু নহে। তার পর যখন এই নদী গুলি বহিয়া সেই সাগরে পতিত হয়, তখন আর গঙ্গাদি নদীর জলগুলির সেই “ভিন্নতা’ থাকে না ; এখন তাহারা এক সাগর-জল রূপেই পরিণত হইয়া যায়।