পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৪৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> é }ቻ” উপনিষদের উপদেশ । ব্ৰহ্মস্বরূপের বাচক ও প্ৰকাশক । যতপ্রকার অভিব্যক্ত পদার্থ আছে, তন্মধ্যে এই ও শব্দটীই সর্বাপেক্ষা ব্ৰহ্মের নিকটবৰ্ত্তীও অন্তরঙ্গ */। সুতরাং এই ও শব্দটাকে অবলম্বন করিয়া, এই শব্দেই ব্রহ্মের স্বরূপ ও সত্তার ভাবনা করিতে করিতে, সাধকের চিত্তে ব্ৰহ্ম-সত্তা স্বতঃই ফুটিয়া উঠিতে থাকে ‘’ ৷ এইরূপে

  • ছন্দোগ্য উপনিষদে, “লোকেষু সাম উপাসীত”-ইত্যাদি স্থলে এই তত্ত্বই নির্দেশিত হইয়াছে। বেদান্তদর্শনে, “ব্ৰহ্মদৃষ্টিরুৎ কর্ষাৎ”- এই সূত্রে ও অন্যান্য স্থলে ইহারই ব্যাখ্যা প্রদর্শিত হইয়াছে। বেদান্তে ইহাই ‘প্রতীকোপাসনা’ নামে বিখ্যাত। নিকৃষ্ট বস্তুতে উৎকৃষ্ট বস্তুর আরোপ করিয়া লইয়া-কাৰ্য্যবর্গে কারণের সত্তার আরোপ করিয়া লইয়া-ভাবনা করিতে থাকিলে, ক্ৰমে সেই নিকৃষ্ট বস্তুটী তিরোহিত হইয়া গিয়া, তৎপরিবর্তে উৎকৃষ্ট বস্তুটাই চিত্তে ভাসিতে থাকে। এই উপাসনার। ইহাই লক্ষ্য । অভিব্যক্তি চন্দ্ৰ সুৰ্য্যাদি পদার্থে ব্ৰহ্মসত্তার ভাবনা উপদিষ্ট হইয়াছে। কারণ-সত্তাই কাৰ্য্যবর্গের মধ্যে অনুস্থ্যত আছে। কাৰ্য্যবর্গের স্বতন্ত্র কোন সত্তা নাই। সুতরাং সূৰ্য্যাদি পদার্থে কারণ-সত্তা বা ব্ৰহ্মসত্তার ভাবনা দৃঢ় হইলে, ক্ৰমে সর্বত্ৰ ব্ৰহ্মসত্তাই জাগরিত হইয়া উঠে। ওঁকারাদিশব্দে ও সূৰ্য্যাদিতে-ব্ৰহ্মদৃষ্টি করার ইহাই ফল । কোন কাৰ্য্য বস্তুকে অবলম্বন না করিয়া, সাক্ষাৎভাবে, নির্বিশেষ ব্ৰহ্মসত্তার ভাবনা করা যায় না ; কেন না। তিনি ইন্দ্ৰিয়ের অগোচর ; “ওঁকারো ব্ৰহ্মবুদ্ধ্যা উপাস্যমানো ব্ৰহ্ম-প্ৰতিপত্ত্ব পায়াে ভবতি-আনন্দগিরি, মাণ্ডুক্যভায্যে।

SS EDDBBDBBDD DBDBDB DDDDBD BDBS DBDDD gBBDD