পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৪৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>此之 উপনিষদের উপদেশ । - trul - Fair * ou 1humoroso aos. pik kan হইয়া থাকে। এই লোকে, সাধক, সর্বপদার্থে অনুসৃত পূৰ্ণ ব্ৰহ্মসত্তার অনুভব করিয়া, অদ্বৈতামৃত-লাভে কৃতাৰ্থ হইয়৷ যান। প্ৰণবের তিনমাত্ৰা-অ + উ +ম, সামরূপিণী। বলিয়াছি, ও কার-ব্রহ্মের স্বরূপ-প্ৰকাশক । ওকার কি প্রকারে ব্ৰহ্ম-স্বরূপের প্রকাশক, তাহা বলিতেছি। ও কারের তিনটা মাত্রা বা পাদের কথা বলিয়াছি। এই বিশ্বেরও তিনটী অবস্থা আছে এবং বিশ্বের অধিষ্ঠাতা পুরুষচৈতন্যেরাও তিনটী অবস্থা আছে। ওঁ-কারাবলম্বনে ধ্যান করিতে থাকিলে, ওকারের এই তিন পাদ-বিশ্ব ও বিশ্বের অধিষ্ঠাতা পুরুষেরও তিন পাদের কথা স্মৃতিপথে জাগরূক করিয়া দিবে। এই প্রকারেই ওকার, ব্রহ্মস্বরূপের পরিচায়ক । এই বিশ্ব যখন অব্যক্ত- ভাবে-বাজারূপে-অবস্থিত ছিল, এই বীজ-শক্তির সঙ্গে সঙ্গে যে ব্ৰহ্মচৈতন্য অবস্থিত, ব্ৰহ্মচৈতন্যের সেই অবস্থার নাম “ঈশ্বর” । ইহাকেই অন্তযামী, সৰ্পদজন্তু বলা হইয়া থাকে। পরে যখন সেই অব্যক্ত বীজশক্তি-সূক্ষা স্পন্দনরূপে অভিব্যক্ত হইল, ইহাই বিশ্বের সূক্ষাবস্থা। বীজাবস্থা হইতে বিশ্ব,প্রথমতঃ সূক্ষমাবস্থায় উপস্থিত হয়। সেই স্পন্দনশক্তি-সংবলিত চৈতন্যকে সূত্ৰাত্মা বা হিরণ্যগৰ্ভ বলা যায়। পরে যখন এই সুক্ষ-স্পন্দন-শক্তি, কাৰ্য্যও করণকারে স্থূলভাব ধারণ করিয়া এই বিশ্ব নিৰ্ম্মিত করিয়া তুলে, বিশ্বের ইহাই স্কুলাবস্থা। বিশ্বের স্থূলকাৰ্য্যাৰগের সঙ্গে সঙ্গে যে চৈতন্ম