পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৪৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

» १२ উপনিষদের উপদেশ । সাধকের চিত্তে উদ্ধৃদ্ধ করিয়া দিতে সমর্থ। সুতরাং ও কারের তুল্য অন্তরঙ্গ অবলম্বন ( প্ৰতীক। ) আর কৈ ? ব্ৰহ্মস্বরূপবোধের পক্ষে ইহাই শ্রেষ্ঠ অবলম্বন। এই প্রকারে ও কারের ভাবনায়, ক্ৰমে ক্ৰমে তুরীয় ব্ৰহ্ম-তত্ত্বে প্রবেশ করিতে পারা যায়। মহাশয় ! আমি আপনাদের নিকটে পরব্রহ্মের স্বরূপ ও সাধনেব প্ৰণালীর উপদেশ দিলাম । মনুধ্যের পক্ষে, এই পরব্রহ্মের তত্ত্ব বা তীত অপর কোন বস্তু বিজ্ঞেয় নাই। সকলেরই পক্ষে, পরব্রহ্মের জ্ঞানলাভ করা কীৰ্ত্তবা । অবিদ্যারূপ মহাসাগরের অপর পারে উৰ্ত্তীর্ণ হইবার নিমিত্ত, ইহাই একমাত্ৰ উপায় জানিবেন” । এই বলিয়। অ্যাচাৰ্য্য পিল্পলাদ নীরব হইলেন । সুকেশী, সত্যকাম প্রভৃতি ছয়জন গৃহী, এইরূপে আদার্যোব মুখে পর ব্ৰহ্ম সম্বন্ধে মহার্ত উপদেশ লাভ করিয়া, আপনাদিগকে কৃতাৰ্থ মনে করিতে লাগিলেন । তাহার। আচাৰ্য্যকে পুনঃ পুনঃ প্ৰণতি পূৰ্ব্বক বলিতে লাগিলেন,-“ভগবন! আপনি আমাদিগকে মুক্তির মাৰ্গ নির্দেশ করিয়া দিয়া, রোগ দুঃখাদি-গ্ৰাহসন্ধুলি অবিদ্যারূপ ভাষণ মহাসাগরের অপরপারে উত্তীর্ণ হইবার উপায় বলিয়া দিয়া, কৃতাৰ্থ করিলেন। আপনিই আমাদিগের পিতৃস্থানীয় ; আমরা আপনার শ্ৰীচরণে শরীর, মন ও আত্মাকে সৰ্বতোভাবে সমৰ্পণ করিতেছি” । ও তৎসৎ ।