পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৪৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Dr te উপনিষদের উপদেশ । স্বতন্ত্র অস্তিত্ব নাই। তত্ত্বদর্শীর চক্ষে, ইহা আত্মসন্তা হইতে “স্বতন্ত্র” কোন বস্তু নহে ; উহা—আত্মসত্তাই ; উন্থ সৎ ব্রহ্মবিস্তু। সুতরাং ব্ৰহ্মই জগতের উপাদান কারণ এবং নিমিত্তে কারণ --উভয়ই হইতেছেন। অচেতন জড় উপাদান কখনও স্বতন্ত্র স্বাধীনভাবে ক্রিয়া করিতে পারে না ; সুতরাং ব্ৰহ্মসন্তাকে উহার অধিষ্ঠান বলা হইয়াছে। এই অধিষ্ঠানের সত্তাতেই উহার সত্তা এবং অধিষ্ঠানের ক্রিয়াতেই উহার ক্রিয়া । সুতরাং উহার স্বতন্ত্র সত্তা ও সুতন্ত্র ক্ৰিয়া না থাকায়, BDDSBDBD S BBDDSDDDS S DBBD BB SBDB ३३शष्ट * ।

  • আমরা এই সকল কথা টীকাকার জ্ঞানমুত যতির উক্তি হইতে গ্ৰহণ করিয়াছি। পাঠক দেখিবেন, বেদান্তমতে জগতের উপাদানশক্তি অস্বীকৃত হয় নাই। শঙ্কর, প্ৰকৃতি-শক্তিকে স্বীকার করিতেন। কিন্তু উহার স্বতন্ত্র সত্তা স্বীকার করিতেন না। বেদান্ত ভাষ্যে [ ১২॥২২ ] তিনি স্পষ্টই বলিয়াছেন যে, “আমরা , প্রধানকে [ প্ৰকৃতিকে ] কোন স্বতন্ত্র বস্তু বলিয়া মনে করি না। আমাদের প্রকৃতি বা ‘অব্যাকৃতশক্তি’, আত্মসত্তা হইতে “স্বতন্ত্ৰ’ কোন বস্তু নহে। ইহাকে “ভূতসূক্ষ্ম’ নামেও অভিহিত করা যায়।” এই জন্য, যদিও প্ৰকৃতিই জগতের উপাদান ; তথাপি তত্ত্বদর্শীর চক্ষে ব্ৰহ্মই জগতের উপাদান হইতেছেন। আত্মসত্তাতেই প্ৰকৃতির সত্তা ; সুতরাং প্রকৃতি। ‘অসত্য’। যাহার নিজের ‘সত্তা’ নাই, সে বস্তু অবশ্যই অসত্য। এই প্রকার অর্থেই প্রকৃতিকে