পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৪৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্ম-নিরূপণ ও ব্ৰহ্ম-প্ৰাপ্তি । ܘܘܪ rri ܚܩܡܩܦܬܐ সে বস্তুর অস্তিত্ব কি প্রকারে স্বীকার করা যাইতে পারে ? যাহার বিশেষত্ব নাই, তাহা ত শূন্য, তাহা ত অসৎ হইয়াই উঠে । গুরো !! তবে কি ব্ৰহ্মবস্তু অসৎ ? আমার আরো দুইটী সন্দেহ আছে। তাতারও উত্তর জানিতে ইচ্ছা করি। ব্ৰহ্ম যদি বিশেষত্ব-রাহিতই হন, তাহা হইলে যাহারা ব্ৰহ্মজ্ঞ নহে, তাহারাই বা ব্ৰহ্মকে না পাইবে কেন ? আর র্যাহারা ব্ৰহ্মজ্ঞ, তঁাহারাই বা ব্ৰহ্মকে পাইবেন কেন ? যাহা সৰ্ব্ব-সাধারণ, সে বস্তু ত সকলেরই সর্বদা প্ৰাপ্য। তাহা হইলে, ব্ৰহ্মজ্ঞব্যক্তিরই ব্ৰহ্ম-প্ৰাপ্তি ঘটিবে, আর যাহারা ব্ৰহ্মজ্ঞ নহে তাহারা ব্ৰহ্মকে পাইবে না,--ইহাই বা কি প্রকারে সম্ভব হয় ? গুরো ! আমাকে এই প্রশ্ন তিনটীর উত্তর প্রদান করিয়া কৃতাৰ্থ করুন”। আচাৰ্য্য, শিষ্যের প্রশ্ন ও আশঙ্কা বুঝিতে পারিয়া এই প্রকারে তাহার সন্দেহ ভঞ্জন করিয়া দিলেন :- “সেীমা ! তুমি উত্তম প্রশ্ন উত্থাপন করিয়াছ। আমি অগ্ৰে তোমার নিকটে ব্ৰহ্মের স্বরূপ কীৰ্ত্তন করিতেছি। তুমি, ব্ৰহ্মের স্বরূপ কি প্রকার, তাহা বুঝিতে পার নাই। ব্ৰহ্মবস্তু-সত্য, জ্ঞান ও অনন্ত-স্বরূপ । সত্য, জ্ঞান ও অনন্ত-এই তিনটা ব্ৰহ্মের বিশেষণ । সত্য, জ্ঞান এবং অনন্ত—এই তিনটী বিশেষণ প্রত্যেকে পৃথক পৃথক, ব্ৰহ্মবস্তুকে বিশেষিত করিতেছে। অর্থাৎ, ব্ৰহ্ম সত্য-স্বরূপ, ব্ৰহ্ম জ্ঞান