পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৫১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মা-নিরূপণ ও ব্ৰহ্ম-প্ৰাপ্তি । ૨૨છે সৌম্য! ব্ৰহ্ম-সম্বন্ধে প্রাচীন গাথাটা শুনিলে। ব্ৰহ্মবস্তু অদৃশ্য। যাহা দৃশ্য, যাহা ইন্দ্ৰিয়গ্ৰাহ,—তাহা বিকারী। সুতরাং, অদৃশ্য বলিয়াই তিনি অবিকারী, নির্বিকার। যেহেতু তিনি অদৃশ্য, এই জন্যই তিনি শরীর-বজ্জিত। এই জন্যই আবার তিনি অনিৰ্দেশ্য । কোন শব্দাদি দ্বারা তাহাকে নির্দেশ করিতে পারা যায় না। কেননা, যাহা সবিশেষ, যাহা দেশকালবদ্ধ, যাহা বিকারী,-"তাহারই নির্দেশ করা সম্ভব হয়। কিন্তু যাহা নির্নির্বকার-যাহা সকল বিকারের কারণ-তাহাকে কেমন করিয়া নির্দেশ করা যাইবে ? জড়বস্তুর ন্যায়, তিনি কাহারও “আধার” নহেন । তিনি সকলের অধিষ্ঠান’। কাৰ্য্যবর্গের যতপ্রকার ধৰ্ম্ম আছে, তিনি তাহা হইতে স্বতন্ত্র। যিনি ঈদৃশ ব্রহ্মে প্রতিষ্ঠা লাভ করিতে পারেন, যিনি ঈদৃশ ব্ৰহ্মে আত্ম-ভাব স্থাপন করিতে পারেন, যিনি আপনি আত্মার সহিত অভিন্ন-ভাবে ইহঁর ভাবনা করিতে পারেন, তিনি কদাপি কোন বস্তু হইতে, ভয়-শোক-দুঃখাদি প্ৰাপ্ত হন না। যতদিন ভেদবুদ্ধি, যতদিন দ্বৈত-বোধ, যতদিন স্বতন্ত্রতার বোধ,--ততদিনই ভয়াদির সম্ভাবনা । কোন বস্তুকে আপনা হইতে স্বতন্ত্র মনে করিলেই ত, তাহা হইতে ভয় পাইবার কথা। কিন্তু যিনি কোন বস্তুকেই আত্ম-সত্তা হইতে স্বতন্ত্র বলিয়া মনে করেন না, সর্বত্র কেবল এক ব্ৰহ্মসত্তারই অনুভব করিয়া থাকেন, তিনি ভয় পাইবেন কাহা হইতে ? এই জন্যই ঈদৃশ তন্ত্ৰদশীগণ