পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

M ver উপনিষদের উপদেশ । বলিয়াছেন যে, আকাশ, সূৰ্য্য প্রভৃতি শব্দ অবশ্যই সকলের সুপরিচিত ভৌতিক আকাশ্যাদি পদার্থকেই বুঝাইতেছে ; উহারা অপর কোন বস্তুকে বুঝাইতেছে না। কিন্তু একটা কথা আছে । কিন্তু উহাদিগের প্রতি যে সকল বিশেষণ প্ৰদত্ত হইয়াছে, তন্দ্বারা আকাশ, সূৰ্য্যজ্যোতিঃ, প্ৰাণ প্রভৃতি জড়বর্গের মধ্যে অনুসূৰ্য্যত কারণ-সত্তা বা ব্ৰহ্ম-সত্তাকেই বুঝিতে হইবে । সকল কাৰ্য্যের মধ্যেই কারণ-সম্ভা অনুসূৰ্য্যত, অনুপ্রবিষ্ট রহিয়াছে। কেন না, কারণ-সত্তা হইতে কাৰ্য্যবর্গের স্বতন্ত্র সত্তা থাকিতে পারেন। ঋ । কিন্তু কথা এই যে, যদি অনুপ্রবিষ্ট কারণ-সত্তাকে লক্ষ্য করিয়াই ঐ সকল শব্দ প্ৰযুক্ত হইয়া থাকে, তবে তাহা স্পষ্টতঃ না বলিয়া আকাশ, সূৰ্য্য প্রভৃতি জড় বস্তুই বা উল্লিখিত হইল কেন ? ভাষ্যকার ইহার উত্তরে বলিয়াছেন যে,-“কোন কাৰ্য্যেরই কারণ-সত্তা হইতে “স্বতন্ত্র সত্তা নাই’। তত্ত্বদর্শীর নিকটে, কার্যাবর্গ - উহার কারণ হইতে স্বতন্ত্র কোন বস্তু নহে। সুতরাং, স্বতন্ত্র নহে বলিয়াই, ঐ সকল শব্দ দ্বারা কারণ সত্তা বা ব্ৰহ্ম-সপ্তাই বুঝিতে হইবে। কিন্তু এ প্রকার সিদ্ধান্তেরই বা কারণ কি ? কারণ এই যে, আকাশ্যাদি শব্দে প্রচুর পরিমাণে “ব্ৰহ্ম-লিঙ্গ” বা ব্রহ্মের পরিচায়ক চিহ্ন বৰ্ত্তমান nummet çar in

  • “বিকারে হনুগতিং জগৎকারণং ব্রহ্মনির্দিষ্টং-ত 'দদং সৰ্ব্বম” ইত্যুচ্যতে ; যথা “সৰ্ব্বং খন্বিদং ব্রহ্মেতি”। কাৰ্য্যঞ্চ কারণ দিব্যাতিরিক্তমিতি বাক্ষ্যামঃ” -১১২৫ {