वश्बी-बिद्रं ७ खत्री-श्रांख्रि । २७१
au. " LLLLLS GLLLLLLLLL LSLLLLLLSLLS SLSLSLSLS LLS 0LLLSLLSLLLLL S YL0
কোন বস্তুকেই আত্মাতিরিক্ত স্বতন্ত্র প্রয়োজনবিশিষ্ট বলিয়া বোধ করেন না । ঈদৃশ সাধক আবার এই গীতিও উচ্চারণ করেন যে—“আমিই মূৰ্ত্তামূৰ্ত্তাত্মক এই জগতের আদিতে, সর্বপ্রথমে স্পন্দনরূপে অভিব্যক্তি হইয়াছিলাম। আমিই দেবতাদিগের অগ্ৰবৰ্ত্তী হিরণ্যগৰ্ভ। আমিই অমৃতের নাভি। না”। আমিই অন্ন, আমিই অন্নাদ । এই বিশ্বভুবন আমিই। এ বিশ্বে আমি ব্যতীত দ্বিতীয় বস্তু নাই। আমার সত্তা সর্ববত্র অনুপ্ৰবিষ্ট । কোন বস্তুরই ‘স্বতন্ত্র”। সত্তা নাই। সুতরাং আমি ছাড়া, কোনই বস্তু নাই । এই যে অন্ন এবং অন্নাদ-ইহাদের একটা ‘ব্যাবহারিক ? সত্তা প্ৰতীত হয় বটে, কিন্তু, ‘পরমার্থ-সত্তা ব্যতীত উহারা স্বতন্ত্র কোন বস্তু নহে। পরমার্থ তঃ, উহারা-অন্ন ও অন্নাদ-কেহই সত্য নহে। কেননা কাৰ্য্যবর্গের স্বতন্ত্র সত্তা নাই । ব্ৰহ্ম-ব্যতিরেকে সকল বস্তুই ‘অসৎ?-অসত্য দুঃ।
- যাহা সংহত, যাহার অবয়ব-সমূহ একত্র মিলিত হইয়া একই প্রয়োজন সাধন করে,--বুঝিতে হইবে যে উহাদের নিজের কোন প্রয়োজন নাই। উহারা অপরের প্রয়োজনের জন্যই ক্রিয়াশীল।-- বেদান্তের ইহাও একটী প্রধান যুক্তি। মূলে আছে “শ্লোককৃৎ’। শ্লোহ্মণ শব্দের অর্থ-“কাৰ্য্য- করণাত্মক দেহ” ”-শঙ্কর ।
+ ‘অমৃত্যু’ অর্থে অবিনাশী কারণ-সত্তা । ‘নাভি’ শব্দে এই তাৎপৰ্য্যই সুচিত হইতেছে। যে অবিনশ্বর কারণ-সত্তা আমার মধ্যে, সেই সত্তাই সকল পদার্থে অনুস্থ্যত রহিয়াছে’। পাঠক দেখিবেন, এই ভাবেই শঙ্কর জগৎকে “অসত্য’ বলিয়াছেন । দ্বিতীয় খণ্ডের অবতরণিক দ্রষ্টব্য।
