পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V (RC9 V উপনিষদের উপদেশ । যেমন কৰ্ম্ম-কাণ্ড ও জ্ঞান-কাণ্ড উভয়েরই উপদেশ আছে ; ঋগ্বেদেও তদ্রুপ কৰ্ম্ম-কাণ্ড ও জ্ঞান-কাণ্ড উভয় তত্ত্বই আছে । কিন্তু শঙ্করাচাৰ্য্য কেবল সে এইরূপ বিশ্বাস পোষণ করিয়াই নীরব ছিলেন, তাহা নহে। তিনি উপনিষদের শ্লোক-ব্যাখ্যায়, স্থানে স্থানে, একই শ্লোকের কৰ্ম্ম-পক্ষে ও জ্ঞান-পক্ষে ---উভয় পক্ষেই ব্যাখ্যা করিয়াছেন। আমরা এক আধটা দৃষ্টান্ত দেখাইতেছি। কঠোপনিষদে দ্বিতীয় অধ্যায়ের চতুৰ্থ বল্লীর ৮ম শ্লোকটী * শঙ্কর দুই প্রকারে ব্যাখ্যা করিয়াছেন। একই শ্লোকে দ্রব্যাত্মিক ও ভাবনাত্মক যজ্ঞের ব্যাখ্যা দিয়াছেন । একই উপন্য অগ্নিকে যে সাধকের অধিকার-ভেদে, দুই প্রকারে অনুভব করেন, শঙ্কর তাহাই বলিয়া দিয়াছেন । কৰ্ম্মীগণ যজ্ঞীয় অগ্নিকেই ঘূতাদি দ্বারা উপাসনা করেন, কিন্তু জাগরণ-শীল তত্ত্বদর্শীগণ সেই অগ্নিকেই “হৃদয়ে” হিরণ্যগৰ্ভরূপে ভাবনা করেন। —সেই অগ্নিতেই কারণ-সত্তার ধ্যান করেন । কঠোপনিষদের এই শ্লোকটী ঋগ্বেদেরই একটা মন্ত্র । এই মন্ত্রের মধ্যে যে সকল শব্দ আছে, সেই শব্দগুলিই দুই প্রকার সাধককে লক্ষ্য করে। “হবিষান্তিঃ” শব্দদ্বারা কেবল-কৰ্ম্মাকে বুঝাইতেছে ; “জাগৃবপ্তিঃ” শব্দদ্বারা মনন-পরায়ণ, জাগরণশীল, তত্ত্বদর্শকে বুঝাইতেছে। সুতরাং r s • শ্লোকটা এই—“অরণ্যোনিহিতো জাতিবেদাঃ, গৰ্ভাইব সুভৃতে। গৰ্ভিনীভিঃ । দিবে দিবে ইড্যো জাগৃবিদ্ভিঃ, হবিষ্ম উদ্ভমানুষ্যে ভিরগ্নিঃ” । “উপনিষদের উপদেশ, দ্বিতীয় খণ্ডে, কঠোপনিষদ প্ৰদত্ত হইয়াছে। সেই স্থলে ভায্যের ব্যাখ্যা বিস্তৃতভাবে দেওয়া হইয়াছে।