পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতরণিকা । Nò AkeAe SASALL ALMMAeMeMLeeLLLLLLS SS AAAASLMLS AeSeL eSLALAeASLLALLS LLLL LLL SSSLSL AALLAAAAS SSLASAAL LA AAAAASAeALMAeS SSLSS S LSke SqS Seee eeLLeAeAASS "مية" আমরা দেখিতেছি যে ঋগ্বেদের মন্ত্রের মধ্যেই স্পষ্ট করিয়া দুই শ্রেণীর সাধক ও সাধনের কথা উল্লিখিত রহিয়াছে ৷ ‘ শঙ্করও ঋগ্বেদের এই রহস্যই গ্ৰহণ করিয়াছেন । পাঠক যদি মনে করেন ষে, শঙ্কর হয়ত দৈবাৎ একটিমাত্ৰ শ্লোকের এই প্রকার ব্যাখ্যা করিয়াছেন,--এই জন্য আমরা আরো দুই একটি স্থল দেখাইতেছি । ঈশোপনিষদের চতুৰ্দশ শ্লোকটীর অর্থ শুনুন—“হে সূৰ্য্য! তোমার দুইরূপ। একটী তোমার জ্যোতিমালামণ্ডিত বাহিরের মূৰ্ত্তি। কিন্তু এতদ্ব্যতীত, ইহারই মধ্যে তোমার আর একটী কল্যাণময়ী মূৰ্ত্তি আছে,-সাহ! জ্যোতিঃ দ্বারা আবৃত হইয়া রহিয়াছে । আমি তোমার সেই কল্যাণময় রূপচী দেখিতে চাই ; বাহিরের ঐ জ্বালাময় আবরণ সরাইয়া লাও ”* । প্ৰিয় পাঠক ! এটীও ঋগ্বেদ হইতেই গৃহীত। এই মন্ত্ৰটীতে অতি স্পষ্টরূপে সূর্ঘ্যের মধ্যে অনুপ্রবিন্ট গৃঢ় কারণ-সত্তার নির্দেশ আছে। কৰ্ম্মীগণ সূর্ঘ্যের ঐ তেজঃ-সংকুল স্কুল রূপেরই উপাসনা করেন। কিন্তু তত্ত্বজ্ঞগণ, ঐ স্কুল তেজোমণ্ডলের মধ্যে অনুসৃত যে কল্যাণময় রূপটিী আছে- যে কারণ-সত্তা আছে।--তাহাই দেখিতে ইচ্ছা করেন। কঠোপনিষেদের অন্যত্রও আমরা এই তত্ত্বই বুঝিতে পারি। নচিকেতা যখন প্রথমে স্বৰ্গপ্রাপ্তি-সাধক “অগ্নিবিদ্যার” উপদেশ চাহিয়াছিল ; তখন প্ৰথমে উহাকে অগ্নি-বিদ্যার রহস্য বলিয়া দিয়া যমরাজ, তৎপরে নিগুণ ব্ৰহ্ম-তত্ত্বের উপদেশ “পূষন একর্যে সূৰ্য্যা * ! প্রাজাপত্য! বৃহ, রশ্মিীন সমূহ যন্তে রূপং কল্যাণময়ং তত্তে পশ্যামি ! যোহসাবসে পুরুষঃ সোহহমস্মি”।