পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতরণিকা । " ه#ه ঋগ্বেদেও আমরা অবিকল এই প্ৰণালী দেখিতে পাই । ঋগ্বেদ, এইরূপে যজ্ঞবিহীনের নিন্দা করিয়া, দেব-ভক্ত যজ্ঞকারী লোকের প্ৰশংসা নিবদ্ধ করিয়া দিয়াছেন । কিন্তু আমরা দেখিয়া আসিয়াছি যে, জড়বুদ্ধির চিত্তে ধীরে ধীরে ব্ৰহ্মজ্ঞান ও পরলোকের তত্ত্ব ফুটাইয়া তুলিবার উদ্দেশ্যে, পার্থিব ধনাদি ও পারলৌকিক স্বৰ্গসুখের আশা দিয়া প্রথমতঃ সকাম যজ্ঞ বিহিত হইয়াছে । এই সকল সাধক কেবল-কৰ্ম্ম । ইহারা দেবতা, বৰ্গকে “স্বতন্ত্র বস্তু বোধেই উপাসনা করে। কিন্তু, ক্রমে দেবতাবর্গের স্বতন্ত্রতা চলিয়া যাইতে থাকে এবং জ্ঞানের আলোক চিত্তে প্ৰবেশ করে । তখন দেবতাবাগের মধ্যে অনুসৃত কারণ-সত্তা বা ব্ৰহ্ম-সভার দিকে দৃষ্টি আকৰ্ষিত হয়। তখন ইহাদিগকে জ্ঞানবিশিষ্ট কৰ্ম্মী বলা যায়। ইহারা ভাবনাত্মক-যজ্ঞকারী । কেন না। ইহারা অগ্ন্যাদির মধ্যে ব্ৰহ্ম-সত্তারই অনুসন্ধান করিতে থাকেন। এইরূপে ক্ৰমে ইহাদের সর্বত্ৰ ব্ৰহ্ম-সত্তার বোধ উদিত হয় এবং মুক্তিলাভের যোগ্যতা জন্মে। ঋগৃেদে আমরা এই দুই প্রকার যজ্ঞ-সম্বন্ধে প্রচুর শ্লোক দেখিতে পাই । ঋগ্বেদ কেমন করিয়া দ্রব্যাত্মিক-যজ্ঞকে ভাবনাত্মক যজ্ঞে পরিণত করিয়াছেন, তাহা পাঠক ক্ৰমে দেখিতে পাইবেন । সর্ব-প্রথমে, এইরূপে 'দ্রব্যাত্মিক’ যজ্ঞের ব্যবস্থা দেওয়া হইয়াছে ত্বমগ্নে ! প্ৰয়ত দক্ষিণং নারং, বৰ্ম্মেব স্থতং পরিপাসি বিশ্বত: | 》 欧町十领部、菲