পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতরণিকা । ” لاوه سمی٦ নিত্য নিত্য এবং মাসে মাসে যজ্ঞ সম্পাদিত হইয়া থাকে। দেবতাগণ এই সকল যজ্ঞে অগ্নিকেই হ'ব্যবহনকারীরূপে নিযুক্ত कझिशigछन् । বিদ্বান অগ্নি, আমাদিগের যজ্ঞ কল্পনা করিয়াছেন। যজ্ঞে তিনবার সোমলতা নিপীড়িত হয় এবং সাপ্ত প্রকার ছন্দে স্তব উচ্চারিত হইয়া থাকে । এই যজ্ঞ পাচ প্ৰহরে সম্পাদিত হয় । যে ব্যক্তি—যাগ, ইন্ধন, স্তোত্ৰ-উচ্চারণ এবং উপাসনা দ্বারা অগ্নির পরিচর্য্যা করে, সেই ব্যক্তিই মর্ত্যলোকে প্ৰকৃত জ্ঞানবান এবং অমৃত । এই ব্যক্তিই অন্ন, ধন ও যশোলাভ করতঃ উজ্জ্বল হইয়া উঠে । যে সকল ব্যক্তি নিয়ত যজ্ঞানুষ্ঠানে ব্যাপৃত থাকে, মৃত্যুর পরে, সেই ব্যক্তি স্বৰ্গ-পৃষ্ঠে, দেবতাদিগের মধ্যে স্থান (2९g श् ।।” ঋগ্বেদ এই প্রকারে সংসার-মত্ত, সাধনবিহীন লোকের নিন্দাবাদ উদঘোষণা করিয়া, প্ৰথমেই “দ্রব্যাত্মিক' সকাম যজ্ঞের ব্যবস্থা প্ৰদান করিয়াছেন। পার্থিব ধন-জন-যশোর’লোভ দেখাইয়ু এবং পরকালে স্বৰ্গ-সুখের আশা দিয়া, দ্রব্যাত্মিক যজ্ঞের উপদেশ দেওয়া হইয়াছে। পাঠক তাহা দেখিতে পাইতেছেন। ইহাদিগকেই উপনিষদে ‘কেবল কৰ্ম্মী’ বলিয়া নির্দেশ করা হইয়াছে। এই সকল সাধক অবশ্যই, কেবল মাত্র সংসার পরায়ণ, ইন্দ্ৰিয়সুখার্থী, প্ৰবৃত্তি-চালিত লোক অপেক্ষা উন্নত, তাহাতে সন্দেহ নাই । সংসার-নিমগ্নতার হস্ত হইতে উদ্ধারের জন্যই তা যজ্ঞের