পাতা:উপবাস - যদুনাথ মজুমদার.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
উপবাস।

 আমাদের দেশে অনেকে উপবাসাদির দিন বরং কিছু অতিরিক্তই আহার করেন। একাদশীর উপবাস-আ’জ ভাঁত খাই ব না, কিন্তু খাব কি—না ময়দা বা আটা। তাতে আবার নানা উপকরণের ঘটা। আটাটা ভাত হইতে লঘু পথ্য কি না (!) বিচারটা মন্দ নয়। অভোজনের দিনেই ভুরি-ভোজন! ফলিতার্থে উহা উপবাসের উপহাস মাত্র। ধর্ম্মের হিসাবেই কর বা স্বাস্থ্যের হিসাবেই কর, এরূপ উপবাসে ধর্ম্ম ও স্বাস্থ্য, উভয়েরই হানি। শেষে হয়ত বা প্রাণ নিয়া টানাটানি! উপপাস করিতে হইলে, রীতিমত কর। যদি নিতান্ত অশক্ত হও, কিছু দুগ্ধ পান কর। দুগ্ধেই দেহ-রক্ষণোপযোগী সমস্ত পদার্থ বর্ত্তমান।

 প্রাচীন কালে হিন্দুগৃহে একাদশীর দিন গো-অশ্বদিগেরও উপবাস করিতে হইত। গো-অশ্ব প্রভৃতিরও শরীর-রক্ষার জন্য উপবাস যে প্রয়োজনীয়, আমাদের তাহা বুঝা উচিত। কুকুর-বিড়াল প্রভৃতিকে মধ্যে মধ্যে স্বতঃসিদ্ধ প্রাকৃতিক শিক্ষায় উপবাস করিতে দেখা যায়। ফলে পশ্বাদিরও উপবাস আবশ্যক।

 উপবাসাদিতে ধ্যান-ধারণার সাহায্য হয়; এ কথা সকলে স্বীকার করিতে প্রস্তুত হইবেন না, কারণ, উপবাসের অভিজ্ঞতা তাহাদের নাই। তবে মোটামুটি বুঝুন, ভূঁড়ি বা পেট অপরিস্কার থাকিলেই, মুড়ি (মাথা) অপরিস্কার থাকে। Tympanitis এর সঙ্গে সঙ্গে দেখিবে, brain এর Congestion হয়। রোগীর পেট ফাঁপিলেই মুস্কিল! ডাক্তার তখনই enema দিয়া কুপ্ত মল বাহর করিয়া