পাতা:উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র.djvu/৭৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৫০
উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র

রথখানি তার আইল অমনি
লাফায়ে উঠিল তায়,
দূরে দুই ভাই জানি কোন ঠাঁই
দেখিল না হায়-হায়!
গাছের উপরে বসিয়া তখন
ঘুমায় জটায়ু পাখি,
চমকি শুনিল ঐ যেন সীতা
কাঁদেন তাহারে ডাকি!
অমনি জটায়ু যমের মতন
ধরিল রাবণে গিয়া,
আধমরা করে ছাড়িল বেটারে
আঁচড় ঠোকর দিয়া।
ভাঙি রথখানি মারি তার ঘোড়া
ছিঁড়ি সারথির মাথা,
কাড়িল ধনুক ঝেড়ে ফেলে বাণ
পিষিল চামর ছাতা।
দেবতার বর পেয়েছে রাবণ,
সে যে মরিবার নয়,
দশ মাথা তার ছিঁড়ে কতবার
আবার নতুন হয়।
বুড়া পাখি হায় কত পারে আর?
বল তার গেল টুটি,
হাত-পা তাহার কাটিয়া রাবণ
সীতা লয়ে যায় ছুটি।


ঘরে ফিরে দুই ভাই না পান সীতায়
কাতরে কাঁদেন রাম করি হায়-হায়।
খুঁজিলেন বনে-বনে গুহায়-গুহায়,
গোদাবরী তীরে আর যত ঝরনায়।
কোথাও না পান তাঁরা দেখিতে সীতারে,
কেহ নাই, তাঁর কথা জিজ্ঞাসেন যারে।
পরে আইলেন তাঁরা জটায়ু যেথায়,
রয়েছে অবশ হয়ে পড়ে যাতনায়।
রোষেতে বলেন রাম দেখিয়া তাহারে,
“এই দুষ্ট খাইয়াছে আমার সীতারে!
রাক্ষস পাখির মতো রয়েছে সাজিয়া—