পাতা:উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র.djvu/৭৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ছোট্ট রামায়ণ
৭৬৩

জলের উপর দিয়া দিল সেতু বানাইয়া
সাগর হইল সবে পার।
লঙ্কাপুরী ছাইল বানরে
কাঁপে মাটি তাহাদের ভরে।
কে কবে এসেছে কত? গাছে পাতা নাই তত,
দেখিয়া রাবণ কাঁপে ডরে।
তবু তো সে বড়াই না ছাড়ে,
বলে, “কেবা মোর সাথে পারে?”
মুকুট মাথায় দিয়া, কিবা বুক ফুলাইয়া,
দাঁড়ায়েছে লঙ্কার দুয়ারে।
সুগ্রীব তা দেখিল চাহিয়া
অমনি এল সে লাফ দিয়া,
রাবণের ঘাড়ে এসে, পড়িল সে হেসে-হেসে
দিল তাব বড়াই ভাঙিয়া!
হায়-হায়! কহিল সকলে,
রাবণ তো গেল রেগে জ্বলে,
কাড়িয়া মুকুট তাব, সাজা কিছু দিয়া আর,
হাসিয়া সুগ্রীব গেল চলে।
পরেতে অঙ্গদ বীর গিয়া
রাবণেরে কহে গালি দিয়া,
“তুই বেটা পাবি সাজা, বিভীষণ হবে রাজা
যুদ্ধ কর্ বাহিরে আসিয়া।”
বড় তায় চটিয়া রাবণ,
“কাট্! কাট্!” কহিল তখন
হাঁই-মাঁই করি তায়, অঙ্গদে ধরিতে যায়
চারি বেটা যমের মতন।
তারা এল “হাঁই-মাঁই” বলে,
সে তাদেরে পুরিল বগলে,
“রাম জয়” বলি তবে, আছাড়ি মারিল সবে,
তারপর ঘরে এল চলে।


তখন হইল যুদ্ধ বড় ভয়ংকর,
না জানি মরিল কত রাক্ষস বানর।
দিন নাই, রাত নাই, করে কাটাকাটি,
রক্তেতে বহিল নদী, লাল হল মাটি।
“মার্-মার্” “কাট্-কাট্” মহা গণ্ডগোল,