পাতা:উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র.djvu/৭৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৭৬৬
উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র

নীলেরে মারিতে পরে গেল তাড়াতাড়ি৷
বড় চটপটে নীল ছুঁচোবাজি মতো,
চোখের পলকে লাফ দেয় দুই শত৷
ছুটে উঠে রাবণের রথের চূড়ায়,
ঢিপ্ করে পড়ে নীল বেটার মাথায়।
তিড়িঙ-বিড়িঙ নাচি ফেরে হেথা-হোথা,
রাবণ পড়িল গোলে—বাণ মারে কোথা?
হাসিল বানর সব, চটিল রাবণ,
ভয়ংকর বাণ হাতে লইল তখন৷
অজ্ঞান হইযা নীল পড়িল সে বাণে,
ধাইয়া রাবণ গেল লক্ষ্মণের পানে৷
দুইজনে হল যুদ্ধ বড়ই বিষম,
দুইজনে ভারি বীর কেহ নহে কম৷
রাবণ লক্ষ্মণে মারে কড়্মড়ি দাঁত,
লক্ষ্মণ করেন তারে বাণে চিৎপাত৷
তখন রাগেতে বেটা কাঁপি থর্‌থর্,
ছুঁড়িয়া মারিল এক শক্তি ভয়ংকর৷
ব্রহ্মার নিকটে তাহা পাইল রাবণ,
বারণ করিতে তারে নাবে কোনোজন৷
পড়িল আসিয়া শক্তি বজ্রের সমান,
বুকে বিধি লক্ষ্মণেরে করিল অজ্ঞান৷
ছুটিয়া রাবণ তায় এল তারে নিতে,
নিয়ে যাবে দূরে থাক, নারিল নাড়িতে৷
এমন সময়ে এসে বীব হনুমান,
এক কিলে অভাগারে করিল অজ্ঞান৷
লক্ষ্মণেরে তারপরে কোলেতে করিয়া
রামের নিকটে তারে গেল সে লইয়া৷
আপনি তখন শক্তি পড়ে গেল খুলে,
হেসে উঠিলেন তিনি সব দুঃখ ভুলে৷

নিজেই তখন রাম লয়ে ধনু-শর,
রাবণেরে দিতে সাজা চলেন সত্বর৷
পিঠে করে লয়ে তাঁরে যায় হনুমান,
বাগে পেয়ে তারে দুষ্ট কষে মারে বাণ৷
হনুরে মারিয়া বাণ কত হবে কাজ?
শ্রীরামের বাণ খেয়ে বাচুক তো আজ৷