পাতা:উভয় সঙ্কট - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
উভয় সঙ্কট।
১৩

 কেনারাম দাদার এই মৃদুভর্ৎসনায় আমার সে উৎসাহ কোথায় উড়িয়া গেল। আমি মনে মনে ক্ষুণ্ণ হইয়া সেই ঘরের মধ্যে ইতস্তত বেড়াইতেছি—এমন সময় ঘরের মেজের এক কোণে একটা কি চক্ চক্ করিতেছে দেখিতে পাইলাম। তাড়াতাড়ি গিয়া তুলিয়া দেখিলাম, সেটা একটা বহুমূল্যের হীরাচুনি পান্না বসান ইয়ারিং! সেই ইয়ারিং পাইয়া আমার আনন্দের আর সীমা রহিল না; আমার অনুমান যে সত্য—সে সম্বন্ধে আমার মনে আর কোন সন্দেহ রহিল না। আমি কেনারাম দাদাকে সেই ইয়ারিং দেখাইয়া কহিলাম, “কেনারাম দা, আমার কথা যে কল্পনা নয়, এই ইয়ারিং তাহার যথেষ্ট প্রমাণ। এই ইয়ারিং স্পষ্ট বলিতেছে—এখানে একজন স্ত্রীলোক ছিল—এই ইয়ারিং দেখিয়াই আমি বুঝিতেছি—সে স্ত্রীলোক সম্ভ্রান্তবংশীয়া—এখন আমার মনে আর কোন সন্দেহ নাই।”

 আমি উপরোক্ত কথা বলিতেছি—এমন সময় একখানি গাড়ী আসিয়া সদর দরজায় থামিল। কে আসিলেন—বুঝিলাম। নীচে নামিয়া দরজা খুলিয়া দেখিলাম, পুলিসের বড় সাহেব!


দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ।

 আমরা দুইজনে পুলিসের কায়দাদুরস্ত লম্বা সেলাম করিলাম। বড় সাহেবের সঙ্গে সঙ্গে ইনস্‌পেক্টার সাহেব এবং পুলিস-সার্জ্জন -সাহেবও গাড়ী হইতে নামিলেন। গাড়ীর ছাদের উপর দুইজন