স্পষ্ট পায়ের চিহ্ন দেখিতে পাইলাম। আর সেই পায়ের চিহ্ন দেখিয়া স্ত্রীলোকের পায়ের দাগ বলিয়া আমার বড়ই সন্দেহ হইল। তার পর এই ঘরের মধ্যে এই ইয়ারিং যখন কুড়াইয়া পাইলাম, তখন আর আমার সন্দেহ রহিল না। নিশ্চয়ই এ বাড়ীতে একজন স্ত্রীলোক ছিল, সে পলাইয়া গিয়াছে।
এই কথা কয়েকটি বলিয়া আমি সেই ইয়ারিং সাহেবের হস্তে দিলাম। সাহেব একবার মাত্র ইয়ারিংএর প্রতি দৃষ্টি করিয়া আমায় কহিলেন,—“সে স্ত্রীলোক যে সম্ভ্রান্ত—সে কথা কিরূপে বুঝিলে?”
আমি। সম্ভ্রান্ত না হইলে, এরূপ বহুমূল্য ইয়ারিং কোথায় পাইবে?
বড় সাহেব। অনুসন্ধানে আর কোন কথা জানিতে পারিয়াছ কি?
আমি। আর একজন ঐ মাঠের অর্দ্ধপথ পর্য্যন্ত আসিয়া সেই স্ত্রীলোককে সঙ্গে করিয়া লইয়া গিয়াছে।
বড় সাহেব। এ কথা কিরূপে জানিলে?
আমি। সেও ঐ মাঠে পায়ের দাগ দেখিয়া জানিতে পারিয়াছি।
বড় সাহেব। সে লোক স্ত্রীলোক না পুরুষ?
আমি। পুরুষ।
বড় সাহেব। কিরূপে জানিলে?
আমি। পায়ে জুতা ছিল—সুতরাং পুরুষ।
বড় সাহেব। তাহারা কোথায় গেল—সে সম্বন্ধে কোন অনুসন্ধান করিয়াছ কি?