পাতা:উভয় সঙ্কট - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
উভয় সঙ্কট।
২৩

দিলেন দেখিতেছি। মুখে বলুন আর নাই বলুন, যখন তোমার উপরই এ খুনের তদন্তের ভার দিয়াছেন, তখন তোমার মতে মত দেওয়া হইয়াছে। এই কারণ, আমাদের ইন স্পেক্টার সাহেবের তোমার উপর রাগ দেখিতে পাওয়া যায়। বড় সাহেবের সম্মুখে কিছু বলিতে পারিল না, কিন্তু মনে মনে বড়ই চটিয়া গিয়াছে। ইন্‌স্পেক্টর সাহেবের বিশ্বাস, তুমিই একটা তিলকে তাল পাকাইতেছ। কোথা থেকে সম্ভ্রান্ত স্ত্রীলোক, আর আসামী একজন ছদ্মবেশী বড় লোক, ইহার ভিতর আনিয়া একটা গোল পাকাইতেছ।”

 এইরূপ কথা কহিতে কহিতে আমরা চোরবাগানের দত্তবাবুদের বাড়ী আসিয়া পৌঁছিলাম। প্রথমে কর্ত্তাবাবুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হইল। কিন্তু আমরা যে সংবাদের জন্য তাঁহার নিকট গিয়াছিলাম, তিনি সে সম্বন্ধ কিছুই বলিতে পারিলেন না। তবে তিনি একটা ভরসা দিলেন যে, তাঁহার সরকার মহাশয় সে সকল সংবাদ দিতে পারিবেন। তখন সরকার মহাশয় সেখানে ছিলেন না, তবে তাঁহার বাসা নিকটেই ছিল, আমাদের অনুরোধে তাঁহাকে বাসা হইতে ডাকিয়া আনিতে লোক পাঠান হইল। প্রায় অর্দ্ধঘণ্টা পরে সরকার মহাশয় আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তাঁহার সহিত আমার নিম্নলিখিতরূপ কথাবার্ত্তা হইল।

 আমি। আপনাদের —নং চিৎপুর রোডের বাড়িখানা ভাড়া হইয়াছে কোন্ তারিখ হইতে?

 সরকার। আজ ছয় দিন হইল। গত বুধবার হইতে।

 আমি। কোন এগ্রিমেণ্ট হইয়াছে কি?

 সরকার। না মহাশয়, কোন এগ্রিমেণ্ট হয় নাই।

 আমি। কে ভাড়া লইয়াছে?