পাতা:উভয় সঙ্কট - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
উভয় সঙ্কট।
৩৩

মুখের ভাব দেখিয়া বেশ বুঝিতে পারিলাম—তিনি আমার কার্য্যে বিশেষ সন্তুষ্ট হইয়াছেন। রিপোর্ট পাঠ শেষ হইলে তিনি আমার দিকে চাহিয়া কহিলেন,—“তোমার অনুমানই যে ঠিক, সে বিষয়ে আমার আর কোন সন্দেহ নাই। এখন এই খুনের ভিতর যে একটা ভয়ঙ্কর রহস্য রহিয়াছে, একথা আমার মনেও দৃঢ়বিশ্বাস জন্মিয়াছে। তুমি সে রহস্য ভেদ করিতে পারিলে, আমি তোমার বিশেষরূপ পদোন্নতি করিয়া দিব। এরূপ রহস্যজনক খুন সচরাচর ঘটে না, সুতরাং তুমি কৃতকার্য্য হইতে পারিলে, নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করিতে পারিবে।”

 আমি বিনীতভাবে উত্তর করিলাম, “হুজুরের অধীনে এত বড় বড় উপযুক্ত কর্ম্মচারী থাকিতে, আমার উপর এই খুনের তদারকের ভার দিয়া হুজুর আমার প্রতি যথেষ্ট অনুগ্রহ প্রকাশ করিয়াছেন। এখন আমিও যে হুজুরের সে অনুগ্রহের অনুপযুক্ত নই, সে প্রমাণ প্রাণপণে দিতে চেষ্টা করিব।”

 সাহেব তখন হাসিতে হাসিতে কহিলেন, “এরূপ কার্য্যে দুই একবার অকৃতকার্য্য হইয়া নিরুৎসাহ হইতে নাই। যে নিরুৎসাহ হইল, তাহার দ্বারা কখন কোন কার্য্যের আশা করা যায় না। এবার কোন্ পথে অনুসন্ধান চালাইতে ইচ্ছা কর?”,

 আমি বিনীতভাবে কহিলাম, “হুজুর যে পথে চালাইবেন, আমি সেই পথে চলিব।”

 বড় সাহেব কহিলেন, “তোমার কিরূপ মৎলব জানিতে ইচ্ছা করি।”

 আমি তখন সাহস করিয়া বলিলাম, “যদি সে হীরার ইয়ারিংটা