পাতা:উভয় সঙ্কট - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪
দারোগার দপ্তর, ১৬০ সংখ্যা।

আমায় দেন, তবে আমি একবার তাহার মালিকের অনুসন্ধান করিতে পারি।”

 সাহেব। কিরূপে অনুসন্ধান করিবে?

 আমি। সেরূপ মূল্যবান ইয়ারিং নিশ্চয় কোন সাহেববাড়ীর বড় দোকানে প্রস্তুত হইয়াছে। আর যেখানে প্রস্তুত হইয়াছে, তাহারা নিশ্চয়ই ইহা দেখিলে চিনিতে পারিবে। কারণ এত বড় হীরা ও পান্না সাধারণ হীরা পান্না নহে। প্রস্তুতকারীকে জানিতে পারিলে, এরূপ বহুমূল্য ইয়ারিং যাঁহার জন্য প্রস্তুত হইয়াছিল, তাঁহাকে জানিতে আর অধিক বিলম্ব হইবে না।

 বড় সাহেব আমার প্রস্তাবে সন্তুষ্ট হইয়া আমায় সেই ইয়ারিং বাহির করিয়া দিলেন। তখন রাত্রি হইয়া গিয়াছিল, সুতরাং সে সময় সে অনুসন্ধান আর হইতে পারে না বলিয়া আমি আমর আড্ডায় ফিরিয়া আসিলাম। রাত্রে আর নিদ্রা হইল না, মনে মনে উচ্চ একটা প্রকাণ্ড অট্টালিকা বানাইতে লাগিলাম, আর কতক্ষণে রাত্রি প্রভাত হয়, সেই অপেক্ষায় রহিলাম।


পঞ্চম পরিচ্ছেদ।

 পরদিন বেলা দশটার সময় আহারাদি করিয়া আমরা সেই ইয়ারিং লইয়া বাহির হইলাম। কলিকাতায় যে সকল ইংরাজ বণিকদিগের জুয়েলারী দোকান আছে, একে একে সেই সকল দোকানে সেই ইয়ারিং দেখাইতে লাগিলাম। আমার প্রথম