পাতা:উভয় সঙ্কট - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
উভয় সঙ্কট।
৪৩

আমি তাহার মধ্যে প্রবেশ করিয়াই হোটেলওয়ালীর কথা জিজ্ঞাসা করিলাম। দেখিলাম, বাড়ীর মধ্যে অনেক লোক—কেহ আহার করিতেছে, কেহ পরিবেশন করিতেছে, কেহ আচমন করিতেছে। সকলেই যে যাহার কার্য্যে ব্যস্ত। আমার কথায় আর কেহ উত্তর দেয় না। আমি প্রথমে বাড়ীর দরজার উপর দাঁড়াইয়া হোটেলওয়ালীকে ডাকিতেছিলাম, কারণ পিঁয়াজ রসুনের গন্ধে বাড়ীর মধ্যে যাইতে প্রবৃত্তি হয় নাই, কিন্তু তাহাতে কোন ফল হইল না দেখিয়া, শেষে বাড়ীর মধ্যে যাইতে বাধ্য হইলাম। সেখানে গিয়া জোর করিয়া কথা বলায়, তখন একজন লোক আমায় বাড়ীর ভিতর যাইতে কহিল। আমি, আবার বাড়ীর ভিতর কোথায়—জিজ্ঞাসা করায়, আমায় একটী সরু গলি দেখাইয়া দিল। আমি সেই সরু গলির মধ্যে কিছু দূর গিয়া দেখি, এ বাড়ীর আর এক মহল আছে। এখানে বোধ হয়, বাসাড়ে ভাড়াটীয়ারা থাকে। কারণ, সে মহলের চারিদিকে ছোট ছোট অনেকগুলি ঘর দেখিলাম। এইখানে আমার যেই এত কষ্টের ফেরোজার—বাড়ীওয়ালীই বল—আর হোটেলওয়ালীই বল—সঙ্গে সাক্ষাৎ হইল। দুই একটা কথা শুনিয়াই বুঝিলাম, ফেরোজা ঢাকা অঞ্চলের লোক। সে আমায় দেখিয়াই কহিল,—“আপনি কি চাহেন মশাই?”

 আমি উত্তর করিলাম, “এখানে মহম্মদ আলি নামে কোন লোক আছে কি?”

 ফেরোজা। এজ্ঞে না।

 আমি। আচ্ছা, আজ ৪।৫ দিন পূর্ব্বে ঐ নামে কোন লোক এ বাসায় এসেছিল কি না?