পাতা:উভয় সঙ্কট - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
88
দারােগার দপ্তর, ১৬০ সংখ্যা।

 ফেরোজা। হাঁ—হাঁ—আসিছ্যালো বটে। দুদিন থেকে সে ক্যাম্‌মে চলি গ্যাছে, তার হদ্দি কিছুই পাবার লাগিনে।

 আমি। আচ্ছা, তার কোন জিনিষপত্র এখানে আছে কি?

 ফেরোজা। হাঁ, তেনার একটা আমকাঠের সিঁধুক আছে। তা হামার দু-রোজের ঘর ভাড়া আর খোরাকি পাওনা আছে।

 আমি। সে কোন ঘর ভাড়া নিয়েছিল?

 ফেরোজা। ঐ সাম্‌নাকার কাম্‌রা।

 আমি। তবে সে কাম্‌রার দরজা খোলা রয়েছে যে?

 ফেরোজা। কাম্‌রা ত আর পুরু ভাড়া লয় নাই।

 আমি। আচ্ছা, তার সিন্দুক একবার দেখাও দেখি।

 এবার ফেরোজা রাগিয়া কহিল, “ক্যান্ দেখাইমু?”

 আমি। আমার দরকার আছে।

 ফেরোজা। তোমার দরকারে আমার কি কাম?

 আমি তখন একটু জোর করিয়া চক্ষু রাঙ্গাইয়া কহিলাস, “আমি কে জান?”

 ফেরোজা। তুমি লাট হইছে—তোমাগার চিন্‌বার পারি না?

 আমি দেখিলাম, এই হোটেলওয়ালী সহজ স্ত্রীলোক নহে। তখন আর একবার তাহাকে একটু নরমভাবেই কহিলাম, “দেখ হোটেলওয়ালী, এই মহম্মদ আলি এখন এক খুনী মোকদ্দমার আসামী হইয়া পুলিশের হাজতে আছে, আমি একজন পুলিসকর্ম্মচারী—সরকারী কার্য্যে তার সিন্দুক তদারক করিতে আসিয়াছি। এখন তুমি সেই সরকারী কার্য্যে বাধা দিলে নিশ্চয়ই বিপদে পড়িবে, তোমায় আর একবার সাবধান করিয়া দিতেছি।”