পাতা:উৎকলে শ্রীকৃষ্ণ-চৈতন্য.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকৃষ্ণ-চৈতন্য। মাহাষ্ম্যে ও ব্ৰহ্মপুরাণে এই তীৰ্থ বিশেষ পুণ্যপ্ৰদ বলিয়া উল্লিখিত আছে এবং পুণ্যাখী যাত্রীমাত্ৰই ইহাতে স্নান করিয়া থাকে। তাঁরদেশে ভগবানের শ্বেতমাধব ও মৎস্যামাধব মূৰ্ত্তিদ্বয় বিরাজমান। যমেশ্বরাদি । শ্ৰীমন্দিরের অনতিদূরে, এক পোয়ার মধ্যে, যমেশ্বর, অলাবুকেশ্বর ও কপালমোচন মহাদেবের মন্দিরত্ৰয়। যমেশ্বরের পশ্চিমভাগে অলাবুকেশ্বর ও নিকটেই কপালমোচন। লিঙ্গাত্ৰয়েরই পাবনী শক্তি অসীম। তিনটী মন্দিরই পুরাতন ; ললাটেন্দুকেশরী আলাবুকেশ্বর প্রতিষ্ঠা করেন। যমেশ্বর পূজায় কোটিলিঙ্গপূজার ফল, অলাবুকেশ্বর দর্শনে ও পূজায় অপুত্ৰক পুত্রবান হয় এবং কপালমোচনপূজা দ্বারা ব্ৰহ্মহত্যার পাপ হইতে মুক্তি হয়। ইন্দ্ৰদ্যুম্ন সরোবর। ইন্দ্ৰদু্যায় সরোবর পুরুষোত্তমক্ষেত্রের অতি প্ৰসিদ্ধ তীর্থ। ইহা শ্ৰীমন্দির হইতে ঈশান কোণে ক্ৰোশাধিক দূরে অবস্থিত। পথ অশ্বব্যানযোগ্য। সরোবরের জল দেখিতে ভাল নয়, ইহাতে অনেক কচ্ছপ ; এবং খাদ্যদ্রব্য দিলে অনেক কচ্ছপ দেখিতে পাওয়া যায়। খাদ্য দ্রব্য (মুড়কিও নিকটে বিক্রয় হইতেছে। মার্কণ্ডেয় হ্রদের ন্যায় এখানেও স্নান ও পিতৃতর্পণ বিধেয়। সরোবর সুবিস্তীর্ণ ও চতুর্দিক প্রস্তরে বাধান। সোপান ও প্রস্তর নিৰ্ম্মিত । ইহা দৈর্ঘ্যে প্ৰায় ৩২৪ হাত ও প্রন্থে ২৬৪ হাত। উৎকালখণ্ডে সরোবরের উৎপত্তি সম্বন্ধে উক্ত আছে যে রাজা ইন্দ্ৰদ্যুম্ন অশ্বমেধ যজ্ঞের দক্ষিণাস্বরূপ ষে সকল গাভী দান করিয়াছিলেন তাহাদিগের খুৱান্যাসে ইহা খাত হইয়াছ। সরোবরের দক্ষিণ তীরে ও প্রশস্ত সোপানের পূর্বদিকে নৃসিংহদেবের মন্দির।