পাতা:উৎকলে শ্রীকৃষ্ণ-চৈতন্য.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 8 উৎকলে শ্ৰীকৃষ্ণ-চৈতন্য । “ডাহিনে অনেক গ্রাম রাখে সাধু চালা । छठां छेडब्रिल अदनान (वन ॥ মহেশ পূজিয়া সাধু চলিলা সত্বর। অম্বলিঙ্গে গিয়া উত্তরিল সদাগর ॥” YS LS SLSLLSLL KSAA YS L YST LSS S L S YS S S . . . . . . . sa raaw Y sa 7 * - *. বৰ্ত্তমান হেষ্টিংসের দক্ষিণে ও খিদিরপুরের উত্তরে আদিগঙ্গা খুব প্ৰশস্ত ছিল এবং তথা হইতে শােকরাল পৰ্য্যন্ত কোন নদী ছিল না । শাকরালের দক্ষিণে সরস্বতী প্রবাহিত হইয়া আরও দক্ষিণে যাইয়া দামোদর, রূপনারায়ণ ও হলদির সহিত মিলিত হইয়া সমুদ্রে প্রবিষ্ট হইয়াছিল। খিদিরপুর হইতে শােকরাল পৰ্য্যন্ত হুগলীন দা কাটিগঙ্গা নামে খ্যাত ও তাহার পবিত্রতা নাই। কাটিগঙ্গা ভাগীরথ খাদ নহে ; হুগলী নদী ষোড়শ শতাব্দীতে খাত হয় এবং ভাগীরথী ও সরস্বতী খাল দ্বারা প্ৰথমে যোজিত হয়। ক্রমশঃ মূল ভাগীরথী ( আদিগঙ্গা ) মজিয়া যাওয়াসু জলপ্রবাহ ঐ খালে প্রবলবেগে প্রবাহিত হওয়ায় বৰ্ত্তমান কাটিগঙ্গার সৃষ্টি করিয়াছে। এখনও খিদিরপুর ও শিবপুরের কোম্পানীর বাগানের মধ্যস্থ নদী অপেক্ষাকৃত সংকীর্ণ । এই নদী-অংশের গঙ্গামাং। ঘু না থাকায় তৎপার্শ্বের গ্রামের লোকেরা উত্তরে আসিয়া গঙ্গাস্নান করেন । এখন “পদ্মা” গঙ্গানদীর একাংশ বলিয়৷ ভূগোলে লিখিত হয় ; কিন্তু পদ্মার বিস্তৃতি ও জলরাশির গৌরব আধুনিক। এমন কি গবৰ্ণর জেনারেল ওয়ারেন হেষ্টিংসের সময়ে ( খৃঃ ৭৮০ ) মেজর রেনেল সাহেব যে বঙ্গদেশের নদীসমূহের নক্সা প্ৰস্তুত করেন, তাহাতেও পদ্মার বাৰ্ত্তমান বিস্তৃতি দেখা যায় না। তৎপূর্বে নবাবদিগের আমলেই ভাগীরথী ও পদ্মার সন্ধিস্থান, ছাপাঘাটীর মোহানী, বালুকারাশিতে বন্ধ হইবার উপক্রম হইয়াছিল এবং গঙ্গার জল অধিকাংশই পদ্মার পথদ্বার িবঙ্গীয় উপসাগরে পড়িতেছিল। যাহা হউক, খরস্রোতা বিস্তৃতজলরাশিময়ী “পদ্মা” আমাদের গঙ্গার একাংশ নহে। হুগলী নদীর সমস্তও আমাদের গঙ্গার অংশ নহে।