পাতা:উৎকলে শ্রীকৃষ্ণ-চৈতন্য.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাগীরথী । MLMLMLL LALAL AMSMMSLLLSLLeLeL ALeLLSASqAq qLL SMeAAA AAAA AAALAMAMASeA AAAAS AMAMSASqSSMS MLMAMAMMMMeASMAMMMA AAAAS بیانیه আমাদের গঙ্গা গোমুখী হইতে নিঃসৃত হইয়া হরিদ্বার, প্ৰয়াগ, বারাণসী প্রভৃতি স্থানসমূহকে পবিত্র ও নদীসনাথ করিয়া রাজমহলের অনতিদূরেই দক্ষিণাভিমুখী হইয়া এবং মুরশিদাবাদ, কাটােয়া, নবদ্বীপ, কালনা, ত্ৰিবেণী অতিক্ৰম করিয়া কলিকাতার দক্ষিণে কালীঘাট পার হইয়া গিয়াছিলেন। এক্ষণে দক্ষিণদেশে ভাগীরথ খাদের লোপ হইয়াছে ; এখন স্থানে স্থানে ঘোষের গঙ্গা, বসুর গঙ্গা নামের পুষ্করিণী ভাগীরথীর চিহ্ন, লোকশ্রুতিমাত্র। ছত্রভোগের নিকটেই চক্ৰতীর্থ হইতে ভাগীরথী শতমুখী रुहै। মইাসাগরে ধাবমান হইয়াছিলেন এবং তথা হইতে পশ্চিমবাহিনী স্রোতই ভাগীরথী বলিয়া পরিকীৰ্ত্তিত হইত। ভূতত্ত্ববিদ পণ্ডিতেরা বলেন যে, বঙ্গীয় উপসাগরের লবণাম্বুরাশি এককালে রাজমহল পৰ্ব্বতশ্রেণীর পূর্বপার্শ্বে ক্রীড়া করিত এবং গঙ্গা ও সাগরের প্রথম সঙ্গমস্থান রাজমহলের নিকটেই ছিল। ক্ষিতাপতেজের নৈসর্গিক ক্রিয়ায় ক্রমশঃ বঙ্গীয় সাগরের উত্তরাংশ মজিয়া যাওয়ায় গঙ্গার সাগরসঙ্গমস্থান ও ক্রমশঃ দক্ষিণাভিমুখী হইয়াছিল। এক্ষণে গঙ্গার পশ্চিম শাখারষ্ট পবিত্রতা আছে। এখন সাগরসঙ্গম গমনের পথ “হুগলীনদীর” মুখ ; কিন্তু ভাগীরথীর পুরাতন খাদ যেখানে বৰ্ত্তমান “হুগলী নদীর” সহিত মিশ্রিত ছিল তাঁহাই আমাদের সাগরসঙ্গম ; সেই স্থানেই “মকরে” অর্থাৎ উত্তরায়ণ সংক্রান্তিতে স্নান করিয়া আমরা পুণ্যসঞ্চয় করিয়া থাকি। ছত্রভোগে নবাব হোসেন সাহার কার্য্যাধ্যক্ষ তান্ত্রিক রামচন্দ্র খান মহন্তভুর उक्लै হইয়াছিলেন।* তিনি মহাপ্ৰভু ও তাহার শিষ্যগণের ভাগীরথীর অপর পারে নৌযানে যাইবার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। মহাপ্লডু ভাগীরথী উত্তীর্ণ হইয়া অপর পারে শ্ৰীপ্ৰয়াগঘাটে উপনীত হইলেন। ঘাটের আর একটী নাম গঙ্গাঘাট। তথায় স্নান করিয়া যুধিষ্ঠিরস্থাপিত মহেশকে প্ৰণাম করিলেন। শ্ৰীচৈতনা ভাগবত, অন্ত্যখণ্ড ।