আজকে হৃদয় যাহা কহে মিথ্যা নহে সত্য নহে
কেবল তাহা এরূপ অপরূপ।
খুলে গেছে কেমন করে আজি অসম্ভবের ঘরে
মর্চে-পড়া পুরোনো কুলুপ।
সেথায় মায়াদ্বীপের মাঝে নিমন্ত্রণের বীণা বাজে,
ফেনিয়ে উঠে নীল সাগরের ঢেউ।
মর্মরিত-তমাল-ছায়ে ভিজে চিকুর শুকায় বায়ে,
তাদের চেনে, চেনে না বা কেউ।
শৈলতলে চরায় ধেনু, রাখালশিশু বাজায় বেণু,
চুড়ায় তারা সোনার মালা পরে।
সোনার তুলি দিয়ে লিখা চৈত্রমাসের মরীচিকা
কাঁদায় হিয়া অপূর্বধন-তরে।
গাছের পাতা যেমন কাঁপে দখিন বায়ে মধুর তাপে,
তেমনি মম কাঁপছে সারা প্রাণ।
কাঁপছে দেহে কাঁপছে মনে হাওয়ার সাথে আলোৱ সনে,
মর্মরিয়া উঠছে কলতান।
কোন্ অতিথি এসেছে গো, কারেও আমি চিনি নে গো
মোর দ্বারে কে করছে আনাগোনা।
ছায়ায় আজি তরুর মূলে ঘাসের 'পরে নদীর কূলে
ওগো, তোরা শোনা আমায় শোনা-
দূর আকাশের ঘুমপাড়ানি মৌমাছিদের মন-হারানি
জুঁই-ফোটানো ঘাস-দোলানো গান,
৬৭