পাতা:উৎসর্গ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

যখন গেলে চলে  তোমায় গ্রীবামূলে
দীর্ঘ বেণী তব  এলিয়ে ছিল খুলে,
মাল্যখানি গাঁথা  সাজের কোন ফুলে
লুটিয়ে পড়েছিল পায়ে।
একটুখানি তুমি  দাঁড়িয়ে যদি যেতে!
নতুন ফুলে দেখো,  কানন ওঠে মেতে-
দিতেম ত্বরা করে  নবীন মালা গেঁথে
কনকচাঁপা-বনছায়ে।
মাঠের পথে যেতে  তোমার মালাখানি
প’ল কি বেণী হতে খসে।
আজকে ভাবি তাই বসে।

নূপুর ছিল ঘরে
গিয়েছ পায়ে প’রে-
নিয়েছ হেথা হতে তাই,
অঙ্গে আর কিছু নাই।
আকুল কলতানে  শতেক রসনায়
চরণ ঘেরি তব কাঁদিছে করুণায়,
তাহার হেথাকার বিরহবেদনায়
মুখর করে তব পথ।
জানি না কী এত যে তোমায় ছিল ত্বরা,
কিছুতে হল না যে মাথার ভূষা পরা-

৮০