পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r SS প্রাচীন কীৰ্ত্তি গৌরব বিকাশ করিতেছে। প্ৰাচীন বৌদ্ধগণ খৃষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীতে এই নগরে আসিয়া উপনিবেশ স্থাপন করে । সমুদ্র পথে বৈদেশিক বাণিজ্যের সুবিধা ভাবিয়া ভঁাহারা এই স্থানে একটা বন্দর স্থাপন করিয়াছিলেন। এইস্থান হষ্টতেই ভারতীয় বৌদ্ধগণের ব্ৰহ্মরাজ্যে ও যাব প্রভৃতি ভারত মহাসাগরস্থ দ্বীপসমূহে বাণিজ্য-ব্যাপদেশে গমনাগমন সম্ভবপর বলিয়া বোধ হয় । খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দির প্রথমাদ্ধের শেষ ভাগে প্ৰসিদ্ধ চান। পরিব্রাজক ইউএনসিয়াং এই স্থান পরিদর্শনে আগমন করেন, তিনি তাম্রলিপ্ত নগরকে একটা মহা সমৃদ্ধিশালা বন্দরীরূপে বর্ণনা করিয়া যান। তিনি এখানে ১০টা বৌদ্ধ সঙ্ঘারাম, ২০০ ফিট উচ্চ একটি অশোক লাট (স্তন্তু) ও সহস্ৰাধিক বৌদ্ধ শ্রমণের বাস দর্শন করিয়াছিলেন । প্রাচীন হিন্দু উপাখ্যানমালা পাঠে জানা যায় যে, এই নগর পূর্দেৰ সমুদ্রোপকূল হইতে ৮ মাইল দূরে অবস্থিত ছিল। হুগলী নদীর মুখে পলি পড়িয়! সমুদ্র - সৈকত-ভূমিরূপে সমুত্থিত হওয়ায় প্রায় ৬০ মাইল স্থান ব্যবধান পড়িয়াছে। এখানকার ময়ূরবংশীয় রাজগণ ক্ষত্ৰিয় বংশসস্তুত ছিলেন ; এই বংশের শেষ নরপতি নিঃশঙ্ক নারায়ণ অপুত্ৰক অবস্থায় পরলোকগত হইলে, কালু ভুইয়া নামক জনৈক পাবলিভীয় সর্দার তাহার রাজ্য অধিকার করে । কালু সদার হইতে তমলুকে কৈবৰ্ত্ত রাজবংশের প্রতিষ্ঠা হয়। প্রথমে তাহারা ভূইয়া নামক অনাৰ্য্য জাতি বলিয়া গণ্য ছিলেন, পরে হিন্দুধৰ্ম্ম