পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o গ্ৰহণ করিয়া হিন্দু শ্রেণীতে মিলিত হইয়াছেন। এই বংশের বৰ্ত্তমান রাজা কালু হইতে ২৫ বা ২৬ পুরুষ অধস্তন হইবেন। বাঙ্গালায় পাঠান আধিপত্য বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে এই স্থান ও পাঠান রাজগণের শাসনাধীন হইয়াছিল । তবে স্থান বিশেষে যে রাজা উপাধিধারী হিন্দু ভূম্যধিকারীগণ আপন আপন শাসন-শক্তি পরিচালনায় পরামুখ ছিলেন এরূপও বলা যায় না। উদাস ও বিলাসপ্রিয় মহম্মদীয়গণকে তােষামােদে বশীভূত করিয়া দেশীয় সামন্তগণ এক সময়ে মেদিনীপুর মধ্যে স্ব স্ব প্রাধান্যের পরিচয় দিয়াছিলেন। মেদিনীপুর জেলার পশ্চিম ও দক্ষিণ হিজলি ভাগ মুসলমানাধিকারে জলেশ্বর সরকারের অন্তর্ভুত হয় । মোগল সমাট আকবর সাহের সমযে এখান হইতে ১২৫০ ০০ ০ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় হইত। জলেশ্বর নগরেই ইহার সদর বিচারালয় প্রতিষ্ঠিত ছিল। ১৭৬০ খৃষটাব্দ হইতে ইংরাজ কোম্পানির সহিত মেদিনী । পুরের সংশ্ৰব আরম্ভ হয়। উক্ত বর্ষে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি মীরজাফরকে রাজ্যচু্যত করিয়া মীরকাসিমকে তৎপদে অবস্থাপিত করেন। ইনি স্বীয় পদোন্নতির বিনিময়ে কোম্পানি বাহাদুরকে মেদিনীপুর, চট্টগ্রাম ও বৰ্দ্ধমান জেলা দিতে বাধ্য হন। পূর্ব-দক্ষিণে সমুদ্র এবং পশ্চিমে পর্বত মালা বিস্তৃত পাকায় এই স্থানে বৈদেশিক শক্তির সমাগম হয় নাই । দক্ষিণ উড়িষ্যা হইতে মহারাষ্ট্রীয়গণ দলে দলে আসিয়া মেদিনীপুর লুণ্ঠন করিয়া লইয়া যাইত। এক সময়ে মহারাষ্ট্রীয়গণ সমগ্ৰ