পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ᏍᎿ ] পাঠকগণ এই প্রবন্ধের শেষে প্রদত্ত তালিকা পাঠে সে কুতুহলের নিবৃত্তি করিবেন। ইহা ব্যতীত মেদিনীপুরের মধ্যভাগে অর্থাৎ খান্দার ভেড়ি, ভগবানপুর, সবঙ্গ, নারায়ণগড় ও কঁথির উত্তর পার্শ্বে একটী অতি বিচিত্ৰ ভাষার প্রচলন দেখিতে পাওয়া যায়। তাহার নাম খান্দারী বা পূবালী ভাষা। অসাধারণত আলোচনায় মেদিনীপুরের ভাষাকে দুইভাগে বিভক্ত করা চলে। একটা মাঝিয়া বঃ চাষী, অপরটা খান্দারী বা পূবালী। প্রথমতঃ মাঝিয়া বা চাষী ভাষায় অনেক স্থলে তকারান্ত শব্দের “ত’ কারের একেবারে লোপ দেখিতে পাওয়া যায়। যেমন ভাত এর স্থলে সুধু ভা, এবং হাতের স্থলে কেবল হা বলিলেই পর্মাপ্তি হয় । এই পঙ্গু শব্দগুলির একত্র সমাবেশে এক এক অপূৰ্ব বাক্য রচিত হইয়া থাকে। ভাত খাইয়। হাত ধুইয়াছ ? মাঝিয়।। ভাষায় এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিতে হইলে বাক্য হইবে।--ভা খাই হা ধুইছ ? মাঝিয়া ভাষায় ক্রিয়। পদগুলির অন্তে এক একটী বিলক্ষণ বিভক্তির যোগ দেখিতে পাওয়া যায়। নিখিল ভাষাজননী সংস্কৃত ভাষা যে সাধু অসাধু তাবৎ ভাষার মূলে বৰ্ত্তমান তাহা বােধ হয় অসূয়াপরবশ একদেশদশী ব্যক্তি ব্যতীত অন্যে অস্বীকার করিবেন না । এই মাঝিয়া ভাষার মূলে ও কন্যাবৎসল৷ জননী গীৰ্বাণ বাণী বৰ্ত্তমান । যাইতেছেন, বসিতেছেন, খাইতেছেন ইত্যাদি ক্রিয়ার মূলে ক্ৰমান্বয়ে যা, বাস ও খাদ ধাতু বৰ্ত্তমান। বঙ্গভাষায়