পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ܕܕ ] কেবল প্রাকৃত বিভক্তিগুলিই ভিন্ন ভিন্ন রূপ প্ৰতীত হয়, পরস্তু মূল ধাতুগুলি সব সংস্কৃত । , এই অভিনব মাঝিয়া ভাষাও সংস্কৃত ধাতুনিচয়কে মূলে রাখিয়া স্ব স্ব ভাষা প্ৰসিদ্ধ বিভক্তি সহযোগে ক্রিয়াপদের সৃষ্টি করে ; তবে ইহার বিভক্তিগুলি পাঠকগণের নিকট একটু অশ্রুতপূৰ্বতার আভাস দিয়া কুতুহল উদ্দীপিত করিবে। ইহার ক্রিয় বিভক্তিগুলি একবচনে “ঠে” বহুবচনে “ণ্ঠেন” । তাহা হইলে মাঝিয়া ভাষায় পূর্বোক্স ক্রিয়াপদগুলি হইবে। যথা বহুবচনে যাণ্ঠেন, বসেন্ঠেন ও খাঠেন। একবচনে যায়ঠে, বসেঠে, খায়ঠে । বঙ্গভাষায় এইরূপ স্থলে প্ৰায়শঃ “ছে” বিভক্তির সংযোগ হয়, যেমন খাচ্ছে, যাচ্ছে, আসছে ইত্যাদি। মাবিয়া ভাষায় ছের স্থলে “ঠে” প্ৰযুক্ত হইয়া থাকে। ক্রিয়াপদ ব্যতীত সুবন্ত পদগুলিতেও এই ভাষায় বিলক্ষণতা আছে। যুম্মদ আম্মদ যদা তদ ইত্যাদি শব্দের উত্তর বহুবচনে প্ৰায় “মেনে” বিভক্তির যোগ দেখা যায়। যথা—“তোমরা” স্থানে তোমার মেনে, আমরা এই স্থলে আমার মেনে, সেমেনে যে মেনে । অধিকার সাঙ্কৰ্য্য যে ভাষাকে অন্যরূপে পরিবৰ্ত্তিত করিতে পারে, তাহা “বরাবরেষু।” এই শব্দ হইতে সহজে প্ৰতীত হয় । “বরাবর” শব্দটী পাৰ্শী । অবশ্য ইহা মুসলমানগণের আধিপত্যকালে ভারতবর্ষব্যাপী ছিল। রাজভাষা বলিয়া তৎকালে সাগ্রহে সাধারণে কণ্ঠস্থ ও লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছিল। পরস্তু শিরা-মজ্জাব্যাপিনী সংস্কৃতভাষার মমতা পরিত্যাগ করিতে না পারিয়া হউক অথবা অলক্ষ্যে