পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s ) ওঁকারের প্রথম মাত্রায় যোগীর প্রাণবিয়োগ ঘটিলে তিনি ভারতবর্ষের সার্বভৌম রাজা হন। তাহা হইলে জন্মান্তর-বাদী হিন্দু, বেদ-বিশ্বাসী হিন্দু, ভারতেশ্বরকে একজন ঈশ্বর-কল্প মহাযোগীর সাময়িক রূপান্তর না বলিয়া পারেন কি ? অথবা তাদৃশ বহুমানাস্পদ নররূপিণী মহতী দেবতার প্রতি ভক্তি ও সম্মান প্ৰদৰ্শন করিতে কুণ্ঠা করিতে পারেন কি ? এই ত গেল। জন্মান্তরের কথা । ইহকালের কথা আলোচনা করিলে আমরা দেখিতে পাই যে, কি বৈদিক যুগ, fi স্মাৰ্ত্তযুগ, কি পৌরাণিক যুগ-কি ইতিহাস--- সর্বত্রই রাজা দেবতা-নির্বিবশেষে আদৃত ও সম্মানিত। এমন কি সাহিত্য-যুগ, যেখানে কবির অসীম কল্পনার অখণ্ড রাজত্ব, সেখানেও রাজা-প্ৰজার মধ্যে পিতা-পুত্ৰ ভাব উজ্জ্বলাক্ষরে চিত্ৰিত ; এবং ন্যায় ও ধৰ্ম্মানুপ্রাণিত রাজশক্তি ভক্তিপ্ৰবণ প্ৰজাশক্তির অনন্য-অধিষ্ঠাত্রী দেবতা বলিয়া প্ৰমাণিত । রাজা যে প্ৰজার ঈশ্বর এ বিষয়ে ভুরি ভুরি প্রমাণ রহিয়াছে, তুৎসমস্ত উদ্ধত করিতে হইলে প্ৰবন্ধ অতি বিস্তীর্ণ হইয়া । বেদ, স্মৃতি ও মহাভারতাদি গ্ৰন্থ যাহারা দেখিয়াছেন তাহাদের চক্ষে তাহা পিষ্টপেষণ মাত্ৰ হইবে ; অতএব তৎসমস্ত উদ্ধত না করিয়া আবশ্যকমত বলা যাইবে। Çदा दteन्म “সোমো বৈ রাজা আচক্ষতে’