পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ אל ל } এবং যজ্ঞাদি কৰ্ম্মই ধৰ্ম্ম । কি জ্ঞানযোগ, কি ভক্তিযোগ, কি কৰ্ম্মযোগ সর্বত্র ধৰ্ম্মের সাক্ষাৎ বা পরম্পরায় প্রয়োজনীয়তা । ধৰ্ম্মাচরণের দ্বারা মানব প্ৰকৃতিস্থ হয়। প্ৰকৃতিস্থ হইলেই নিজের প্রকৃত স্বরূপ জানিতে পারে। এইখানে আর একটা কথা বলা আবশ্যক মনে করি যে, ধৰ্ম্মরাজ যুধিষ্ঠিরের কথিত প্ৰাচীন একটী বাক্য আছে যে “বেদবিভিন্নঃ স্মৃতিয়োবিভিন্নঃ নাসেী মুনিৰ্মস্য মতং ন ভিন্নং । ধৰ্ম্মস্য তত্ত্বং নিহিত? গুহায়াং মহাজনো যেন গতঃ সা পন্থাঃ ৷” বেদ সমস্ত বিভিন্ন বিভিন্ন। স্মৃতি সমস্ত ও বিভিন্ন। তিনিই মুনিই নহেন, র্যাহার মত ভিন্ন নহে । এরূপ অবস্থায় ধৰ্ম্মতত্ত্ব গুহায় নিহিত হইয়াছে, অর্থাৎ জটিল হইয়া পড়িয়াছে, সুতরাং মহাজনগণ যে পথে চলিতেছেন বা চলিয়াছেন, তাহাই পথ । তাহাই ধৰ্ত্তব্য । কথাটা শুনিলে আপাততঃ এই বোধ হয় যে, বেদে ও স্মৃতিতে নানা প্রকারের নানামত সন্নিবেশিত হইয়াছে। যখন যে মুনি হইয়াছেন, তখনই তিনি একটা ভিন্ন মত সৃষ্টি করিয়া গিয়াছেন। মুনির সংখ্যা নাই, মতেরও সংখ্যা নাই। এরূপ অবস্থায় ধৰ্ম্মতত্ত্বটা জটিল হইয়া পড়িয়াছে। মাত-মতান্তর আলোচনা না করিয়া শিষ্টব্যক্তিগণ যে পথে চলিয়া গিয়াছেন, সেই পথেই চলা উচিত। পরন্তু কথাটী যে সে লোকের কথা নহে, স্বয়ং ধৰ্ম্মাবতার যুধিষ্ঠিরের উক্তি। দুঃখের বিষয় আজ কাল এই উক্তির সুদূৰ্ববৰ্ত্ত লক্ষ্যের দিকে কাহারও লক্ষ্য নাই।