পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১১৩ ] উক্তিটাকে অন্ধ বিশ্বাসের সূত্র বলিয়া ব্যাখ্যা করিতে থাকেন । আমাদের মনে হয়, বক্তা প্ৰবৃত্তিপরামুখ কুতর্কী ও সন্দিগ্ধ ধৰ্ম্মজিজ্ঞাসু ব্যক্তিগণের আপাত প্ৰবৃত্তির জন্যই “শিষ্টাচার” ধৰ্ম্মের উপদেশ দিয়াছেন এবং “নাসেী মুনির্যস্য মতং ন ভিন্নং ” তিনি মুনি নহেন র্যাহার মত ভিন্ন নয়, এ কথাটীর প্রকৃত অর্থ বা ভাবাৰ্থ বোধ হয় এই হওয়া সঙ্গত মনে হয় যে, যিনি ধৰ্ম্মজিজ্ঞাসু ব্যক্তিগণের ধৰ্ম্মজিজ্ঞাসা চরিতার্থ করিবার কোনও একটা উপায় করিয়া দিয়া যান নাই, তিনি মুনি নহেন। কোনও মুনির লক্ষ্য ভিন্ন নহে, আবিদ্রুত পথই ভিন্ন ভিন্ন। এতদ্বারা তাহারা জগতের নৈসৰ্গিক হিতৈষণার পরিচয় দিয়াছেন । দুঃখের বিষয় অধুনাতন অনেকে মনে করেন যেন মুনিগুলা পরস্পরে ঝগড়া ঝাটা করিয়া নিজ নিজ বাহাদুরী ফলাইবার জন্য যাহার যাহা ইচ্ছা এক একটা পথ দেখাইয়া গিয়াছেন। বেদ সংহিতা পুরাণ স্মৃতি আদি সৰ্বজনদেরণীয় গ্ৰন্থবেত্তা ও গ্রন্থকীৰ্ত্তাগণ এরূপ গুলিখোরী করিয়া গিয়াছেন, ইহা শুনিলে যেরূপ হাস্তের উদ্রেক হয়, বলিতেও তদ্রুপ লজ্জা বোধ করে। পথের নানান্থ দেখিয়া পাথকৰ্ত্তার লক্ষ্য ভেদ স্থির করা সঙ্গত মনে করি না । এ সম্বন্ধে একটা দৃষ্টান্ত দেখুন। পতিতপাবনী গঙ্গা সাগর-সঙ্গমে চলিয়াছেন। পথে কত কোটি জীব গঙ্গাজল স্পর্শে সদগতি লাভ করিতেছে। গঙ্গাসুনাভিলাষীগণের সুবিধার জন্য কত জায়গায় কত পুণ্যাত্মা এক একটা ঘাট প্রস্তুত করিয়া দিয়া স্নানাধীগণের অশেষ সুবিধা bፖ