পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এটা সেটা করিয়া কালক্ষেপ করিতেছেন ? এত সুনাণী যে ঘাট দিয়া সুস্নান করিয়া যাইতেছে আপনিও সেই পথে নামিয়া সুন্নান করুন না ? কোনটা ভাল কোনটা মন্দ এরূপ বিচারে ফল কি ? ধৰ্ম্মাবতার যুধিষ্ঠির ও যেন এই শ্রেণীর সন্দিহান ব্যক্তির জন্য বলিয়াছেন-শৃঙ্খ-“মহাজনো যেন গত: স পন্থাঃ ।” শ্ৰেীতি ও স্মাত্ত-ধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া সন্দেহাকুল ধৰ্ম্মজিজ্ঞাসুর ত্বরা প্ৰবৃত্তির জন্য শিষ্টাচার ধৰ্ম্মটােরই কেবল উপদেশ দিয়াছেন। কেহ কেহ বলিতে পারেন, শ্রুতি স্মৃতি আদির মতান্তর দেখিয়া যখন সদাচারে চলিবারও উপদেশ আছে, তখন আর বৃথা ধৰ্ম্মতত্ত্ব আলোচনায় ফল কি ? - বিড়ম্বনা, মাত্ৰ । একথা। আপাত সত্য বা মনোরম হইলেও এতদ্বারা আন্তরিক দুৰ্বলতার পরিচয় দেওয়া হয়। বিশেষতঃ সৰ্ব্ব ধৰ্ম্মের। ক্ৰমাবনতির সহিত সদাচারিবিশিষ্ট ব্যক্তির অবনতি যেরূপ ঘটিয়াছে, তাহাতে আদর্শ অন্বেষণ করিয়া হতাশ হওয়া অপেক্ষা আদর্শস্থানীয় মহাজনগণের আচরিত সদাচার সমষ্টি যাহা শ্রৌত স্মান্তর্গণ আমাদের মত সংকীর্ণ বুদ্ধি মানবগণের জন্য লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিয়া গিয়াছেন, তাহার আলোচনা করা শ্ৰয়স্কর মনে করি। বিশেষতঃ মুনিগণের মত মতান্তরকে উপলক্ষ্য করিয়া যাহা৷-“ধৰ্ম্মস্য তত্ত্বং নিহিতং গুহায়াং মহাজনো যেন গতঃ স পন্থাঃ।” বলা হইয়াছে, তাহা সম্ভবতঃ ব্যষ্টি বা বিশেষ বিশেষ ধৰ্ম্মকেই লক্ষ্য করিতেছি । সমষ্টি বা সামান্য ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে ধাৰ্ম্মিক সাধারণের মতানৈক্য দেখা যায় না । যেমন