পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( > > V» ] মনে করুন, শৈব্য শাক্ত গাণপত্য বৈষ্ণব ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন উপাসকগণ স্বীয় অবভিচারিণী ভক্তি প্ৰণোদিত হইয়া স্ব স্ব উপাস্য দেবতার প্রাধান্য প্ৰখ্যাপনার্থ পরস্পরে বাদানুবাদ করিতে পারেন, কিন্তু সকলের উপাসনার মধ্যে সেই এক শৌচ-সদাচারাদি, সাধারণ ধৰ্ম্মরূপে অঙ্গীকৃত ও অনুষ্ঠিত হইছেছে। মত মতান্তর বিবেক-দৃষ্টির নিকট স্থান পাইবার নহে। অতএব অনভিজ্ঞ বা অচিন্তাশীল ধৰ্ম্মজিজ্ঞাসুর প্রবৃত্তির উন্মেষ করাই - বার ব্যাপদেশেই যেন বলা হইয়াছে-“মহাজনো যেন গতঃ স পন্থাঃ।” ভগবান নিজেও বলিয়াছেন—“যে যো যাং যাং তনুং ভক্ত: শ্ৰদ্ধয়াচিতুমিচ্ছতি তস্য তস্যাচলাং শ্রদ্ধাং তামেদ বিদধাম্যহং ” ভক্তগণও বলেন-“আকাশাৎ পতিতং তোয়ং যথা গচ্ছতি সাগরং সর্বদেব নমস্কারঃ কেশবং প্রতি গচ্ছতি ।” চিন্তা করিয়া দেখুন না কেন, কি গাণপত্য, কি শৈব, কি বৈষ্ণব সকলেই এক একটা উপাস্য স্থির করিয়া আত্মসমর্পণ করিয়াছেন সত্য কিন্তু গণপতি, শিব, বিষ্ণু এই কয়টা ধাতু প্ৰত্যয়-ঘটিত শব্দগুলি বাদ দিয়া সমষ্টি দৃষ্টিতে দেখিলে সকলেই দেবভক্ত ছাড়া অপর কেহই নহে । ভক্তি একমাত্ৰ সকলের লক্ষ্য। একটা দৃষ্টান্ত আছে-- কয়েকজন জন্ম-অন্ধ একদিন একটা হাতীর কেহ বা পায়ে, * কেহ বা উদরে, কেহ বা শুড়ে, কেহ বা মাথায়, কেহ বা লেজে ধরিয়া পরস্পর তর্ক আরম্ভ করিল। যে পায়ে ধরিয়াছে, সে বলিল, ভাই আমি হাতী ধরিয়াছি, হাতীটো ঠিক থামের মত।