পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| २२४ } সুতরাং এস্থলে ধৰ্ম্মের সমষ্টি স্বরূপকে গ্ৰহণ না করিলে সমন্বয় হয় না। তাই বলিতেছিলাম গুণময়ী প্ৰকৃত্তি-সৃষ্ট ত্ৰি গুণাত্মক সৃষ্টি কাৰ্য্যের রক্ষক বা অবাধে পরিচালকই ধৰ্ম্ম, এবং তদিতির অধৰ্ম্ম, । ভগবান বলিয়াছেন “কাৰ্য্যতেহ্যবশঃ কৰ্ম্ম সর্বঃ প্ৰকৃতিজৈ গুণৈঃ” সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ এই গুণত্ৰয়ের দ্বারা পরিচালিত হইয়া জীব অবশভাবে হয়, অন্তরে অন্তরে না হয় বাহিরে কোন না কোন কাৰ্য্যা অবশ্য করিবে । কাৰ্য্য করিয়া জীব যে কন্ম সঞ্চিত করিবে, তাহাই ভাবি-জন্মে প্রারব্ধরূপে পুনরায় সেই জীবকে ব্যাপৃত করিবেই করিবে । সেই প্রারব্ধ কৰ্ম্মই ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম ছাড়া অপর কিছু নহে। আবার সেই ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম-প্ৰণোদিত হইয়া যে কাৰ্য্য করিবে, তাহা ও ধৰ্ম্মরূপে ও অধৰ্ম্মরূপে প্রারব্ধ কোটিতে পরিগণিত হইবে। সুতরাং ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মই জীবের স্বভাব বা সৃষ্টির স্বভাব। জীব কৰ্ম্মাধীন হইলেও তাহার স্বাতন্ত্র্য একেবারে নাই বলা नक्षङ मgश् । उठाश क्षेtव्न বিধি-নিষেধ-ঘটিত ধৰ্ম্মশাস্ত্রগুলি নিম্প্রয়োজন হইয়া উঠে । বিশেষতঃ সকলেই কম্মের দোহাই দিয়া নিস্কৃতি লাভ করিতে পারেন, সুতরাং কৰ্ম্মের অধীনতার মধ্যে জীরের যে স্বাতন্ত্র্যটুকু আছে, তাহাই আমাদের আলোচ্য ধৰ্ম্মতত্ত্বের আলোচনার ভিত্তি । জীব, সৃষ্টিপ্রবাহের মধ্যে পড়িবার পর ক্রমশঃ আপনার গুণোন্নতি দ্বারা উন্নত হইয়া শেষে বিশুদ্ধ সত্ত্ব স্বরূপে যাইবে