পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rs ইহাই স্বাভাবিক নিয়ম ; কেন। যাইবে ? সে “কেনর” উত্তর সহজ নহে। বিশেষতঃ পাঠ্যমান প্ৰবন্ধে তাহার আলোচনাও সঙ্গত নহে। তবে এই মাত্র বলিলে যথেষ্ট হইবে যে, কৰ্ম্মদোষে মহারাজ পদবীচু্যত ব্যক্তি যখন দারিদ্র্যের নিষ্পেষণে জর্জরিত হইবেন, তখন যে তিনি ক্ষমতা সত্ত্বেও পুনরায় সেই সুখময় রাজপদবী লাভের আকাঙ্খা না করিবেন বা তদার্থ যত্ন না। করিবেন, ইহা কি কখনও স্বাভাবিক নিয়ম হইতে পারে ? সন্তাপ্ত জীবের স্বরূপাবস্থা লাভেচ্ছা স্বাভাবিক । জীবের এই স্বাভাবিক উন্নীনীষার সহায় বা অনুকূল কাৰ্যকলাপই ধৰ্ম্ম । প্ৰতিকুল কাৰ্য্যকলাপই অধৰ্ম্ম । স্বত্ত্ব গুণোন্মেষিত প্ৰবৃত্ত্বিই ধৰ্ম্মের অনুকূল। রজঃ ও তমোগুণোন্মেষিত প্রবৃত্তিই প্রতিকুল। রজঃ ও তমোগুণের কাৰ্য্য যে সময়, অবস্থা, দেশ ও পাত্ৰ বিশেষে ধৰ্ম্ম নয় তাহ বলিতেছি না । কারণ আপদ্ধৰ্ম্ম বলিয়া যে ধৰ্ম্মের একটা ব্যষ্টিস্বরূপ উক্ত হইয়াছে, তাহ সর্বাংশে স্বত্ত্বপ্রধান বলিতে পারিনা। মনে করুন গৃহস্থাশ্ৰমী যদি আশ্রমোচিত। কাৰ্য্য অর্থাৎ যাহাতে রজঃপ্রধান কৃতাগুলি কৰ্ত্তব্যরূপে নিৰ্দ্ধারিত আছে, তাহা না করিয়া রাতারাতি ব্ৰহ্মজ্ঞানী সাজিয়া বসে, তাহা কি তাহার পক্ষে ধৰ্ম্ম বলিয়া পরিগণিত হইতে পারে ? অথবা বলিষ্ঠ হিংস্ৰক ষাঁড় কর্তৃক সাংঘাতিক ভাবে আক্রান্ত হইয়া, তৎকালে অগত্যা প্ৰতিহিংসা করিয়া স্বীয় প্রাণরক্ষা করিলে, সেই প্ৰতিহিংসা তমোগুণোদ্দীপ্ত বলিয়া অধৰ্ম্ম क्षेत्र कि ?