পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ >७२ ] প্ৰবৃত্তিগুলি উৎকৃষ্ট ; উহাই ধৰ্ম্ম-প্ৰবৃত্তি। স্বাৰ্থ-প্ৰবৃত্তি না হইলে সংসার চলেনা সত্য, কিন্তু তাহ অযথা চরিতার্থ হইলে তাহাতে কি সমাজ, কি পরিবার, কি সম্বন্ধ সর্বত্র অমঙ্গলের আশঙ্কা হয়। পরার্থ প্ৰবৃত্তিগুলি যথাভাবে কৃতকাৰ্য্য হইলে সমাজের প্রভূত মঙ্গল হয়। স্বার্থ ও পরার্থ প্ৰবৃত্তির অবিশ্রান্ত সংঘর্ষ চলিয়াছে । এই ভয়াবহ সংঘর্ষে ধৰ্ম্মই একমাত্র মধ্যস্থ করিতেছেন । তাহা না হইলে এ সাংঘাতিক বিগ্ৰহ দাবাগ্নির ন্যায় সমস্ত অরণ্যকে ভস্মস্তপ করিয়া দিতি—”সৃষ্টি লোপ পাইত । ধৰ্ম্ম, সমাজের উপযোগিতা অনুসারে স্বাৰ্থ-প্ৰবৃত্তিগুলি দমিত করিয়া জ্বর্থাৎ উহাদের অযথা চরিতার্থতা নিবারণ করিয়া পরার্থপ্ৰবৃত্তিগুলির সম্যক ক্ষুৰ্ত্তি করায় তখন বুদ্ধিবৃত্তিও তাহাতে সামঞ্জস্য সুধা মাখাইয়া দেয় ; তদ্দ্বারা জনসমাজ শ্ৰীসম্পন্ন, সুখী ও সমৃদ্ধ হয়। র্যাহারা জন্মান্তর স্বীকার করেন না, তাহারা যাহা বলিতে বা ভাবিতে পারেন পারুন। আমাদের হিন্দু প্রধান ধৰ্ম্মসভার সভ্যগণ এরূপ মনে না করেন যে, ধৰ্ম্ম কেবল সমাজ পরিচালন বা পারিবারিক নিয়ম সংরক্ষণ ইত্যাদি ঐহিক কৃত্যকলাপেই সংশ্লিষ্ট রহিয়াছে। த আমাদের এই সনাতন ধৰ্ম্ম মৃত্যুর পরেও আত্মার অনুগমন করে। হিন্দুগণ বলেন “এক এবং সুহৃদ্ধৰ্ম্মে নিধনেই প্যানুযাতি যঃ । শরীরেণ সমং নাশং সৰ্বমন্যান্ড, গচ্ছতি ||” শরীরের সহিত সমস্ত বিনষ্ট হয়, কিন্তু একমাত্ৰ সুহৃৎ