পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ססיל ] ধৰ্ম্মই সঙ্গে যায়। র্যাহাঁদের বিচার-শক্তি ইহজীবনেই সীমাবদ্ধ, তাহারা এ সম্বন্ধে যাহাই বলুন, তাহদের মত সর্বদা ঐকদেহিক । হিন্দুর আধ্যাত্মিক প্ৰবৃত্তি যেরূপ তাহাতে ধৰ্ম্মই আমাদের প্ৰধান অবলম্বন । ইহাই আমাদিগকে অনন্তকাল ধারণা করিয়া আছে ও করিবে । অবশ্য আমি নিন্দা করিতেছি না, কিন্তু এই জন্যই বলিতে ইচ্ছা হয় যে, পাশ্চাত্য শিক্ষা ও পাশ্চাত্য দীক্ষায় আমরা ধৰ্ম্মের অতি সন্ধুচিত স্বরূপ নিশ্চয় করিয়া থাকি । সে শিক্ষা ও দীক্ষা আমাদের সনাতন ধৰ্ম্মের বিরাট স্বরূপ দেখাইতে সমর্থ নহে । তাহা জ্ঞানকরী হইতে পারে, কিন্তু সে স্কুল জড়পদার্থের জ্ঞান । আমাদের সনাতন ধৰ্ম্ম এই জড়বিজ্ঞানের সীমায় আবদ্ধ নহে । সনাতন ধৰ্ম্ম, স্থূল জড়বিজ্ঞানের যেরূপ অজেয় সম্রাটু, সূক্ষ্য অধ্যাত্মবিজ্ঞানেরও সেইরূপ রাজচক্ৰবৰ্ত্তী । দুঃখের বিষয় আজকাল স্থূল জড়তত্ত্বের জ্ঞানোন্নতির সহিত সূক্ষম জ্ঞানতত্ত্ব ক্ষীণপ্ৰভ হইয়া পড়িয়াছে। পণ্ডিতপ্ৰবর শশধর তর্কচূড়ামণি মহাশয় এ সম্বন্ধে বেশ একটা দৃষ্টান্ত দেন। তিনি বলেন, অন্তঃকরণের স্কুল ও সূক্ষম চিন্তা করা যেন দুইটী অঙ্গ। সম্প্রতি অন্তঃকরণের স্থূল বিষর চিন্তা করা এত প্ৰবল হইয়া পড়িয়াছে যে, সূক্ষম চিন্তা একবারে ক্ষীণ হইয়া পড়িয়াছে। অন্তঃকরণ এখন যেন ঠিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগী। এক অঙ্গ অন্তঃকরণের পুষ্ট, অন্য অঙ্গ নষ্টপ্ৰায়। বাস্তবিক সম্প্রতি