পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৩8 } জড়-তত্ত্বেরই যুগ । অধ্যাত্ম-তত্ত্ব একটা কথার কথা হইয়া পড়িয়াছে। কিন্তু সুখের বিষয় অধুনা ভারতবর্ষীয় সনাতন ধৰ্ম্মাবলম্বী অনেক মহাপুরুষ জড়বিজ্ঞানের রাজ্যে গিয়া অধ্যাত্মবিজ্ঞানের বিমল মধুরিমা দেখিতে আরম্ভ করিয়াছেন। জড়বিজ্ঞানীগণের অন্তঃকরণের (সূক্ষ্য তত্ত্ব বিচার রূপা) লুপ্তপ্রায় অঙ্গ ক্ৰমে যেন পুনরঙ্কুরিত হইবে এরূপ আশা করা যাইতেছে । দুঃখের বিষয় স্বদেশের অন্তঃকরণ যেই অসাড় সেই অসাড়ষ্ট আছে । ভগবানই জানেন এ পক্ষাঘাত সারিবে কি না ? এই দুরারোগা ব্যাধির ঔষধ একমাত্ৰ সনাতন ধৰ্ম্ম । সনাতন ধৰ্ম্মাবলম্বীর হৃদয় জড়বিজ্ঞানের সাহায্যে অধ্যাত্মি-বিজ্ঞানের রাজ্যে বিচরণ করিবার জন্য সাঁতত উন্মুখ । তাহদের এই আধ্যাত্মিক প্ৰকৃতি ধৰ্ম্মের ভিত্তিতে প্ৰতিষ্ঠিত ও ধৰ্ম্ম কর্তৃক সংরক্ষিত । যে জীবাত্মা পরব্রহ্ম হইতে বিচু্যত প্ৰায় হইয়া ত্ৰিগুণাত্মিক মায়ার দ্বারা কিছুদিনের জন্য জড়দেহে নিবদ্ধ, যে জীবাত্মা যুগধৰ্ম্মানুসারে ক্রমশঃ কলুষিত ও অধঃপতিত হয়, সেই জীবাত্মার আধ্যাত্মিকতা স্কুৰ্ত্তির জন্য ধৰ্ম্মই প্রধান সহায় । জীবাত্মা সংসারী হইয়া কৰ্ম্মানুসারে শরীর, মন ও ইন্দ্ৰিয় ইত্যাদির সহিত সম্বদ্ধ হয় । তিন্নিবন্ধন অশেষ সুখ দুঃখের ভাগী হইয়া থাকে। কৰ্ম্মফলানুসারে ভিন্ন ভিন্ন লোকে কত শত বার পুনঃ পুনঃ জন্মগ্রহণ করিতে থাকে। সাত্ত্বিক প্রবৃত্তির ক্ষুৰ্ত্তির দ্বারা এই জীবাত্মার কৰ্ম্মসূত্র ছিন্ন করিয়া নির্বাণোন্মুখ করিতে একমাত্ৰ ধৰ্ম্মই প্ৰধান সহায়। অতএব