পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৩৬ ] ধৰ্ম্মময় করিয়া দেয় ; যাহা বলে, কাৰ্য্যতঃ তাহা প্ৰতিপন্ন করাইয়া ধৰ্ম্মের মূল সুদৃঢ় করে। বাস্তবিক মৌখিক শিক্ষা বা মৌখিক বলা অপেক্ষা কাৰ্য্যতঃ যাহা করা যায়, তাহাই প্ৰকৃত চেষ্টার ফল। প্ৰথম পাঠারম্ভ কালে বর্ণমালাগুলি লিখিয়া লিখিয়া শিখিয়াছি বলিয়া আজীবন “ক খ গ ঘ” ইত্যাদি হৃদয়ে খোদিত হইয়া আছে। এইখানে পুণাত্মা যোগী রামকৃষ্ণ পরমহংসের উপদেশগুলি মনে আসে। একদিন, এক শিষ্য পরমহংস দেবকে জিজ্ঞাসা করে, “গুরো ! ঈশ্বরের উদ্দেশে এত স্তব স্তুতি করা সত্ত্বেও ঈশ্বর প্রসন্ন হন না কেন ? ধৰ্ম্ম শাস্ত্ৰাদির ধ্রুত পাঠ-এত আলোচনা করা সত্ত্বেও ঈশ্বরের দর্শন লাভ ঘটে না কেন ?” পরমহংস দেব বলিলেন, “বাবা মুখে বলিলে কাৰ্য হয় না, কাৰ্য্যতঃ তাহা করিতে হয়। ভাঙ্গ ও আফিমে নেশা আছে সত্য কিন্তু ভাঙ্গ ভঙ্গ বা "আফিম আফিম বলিয়া চীৎকার করিলে ত নেশা হয় না ; তাহ খাইলে নেশা হয়। পাঁজিতে কত আঢ়ক জলের কথা লেখা থাকে। কিন্তু পাঁজি ঝাড়াঝাড়ি করিলে কুশাগ্ৰ বিন্দুও পড়ে না কেন ?” তাই বলিতেছিলাম কেবল ধৰ্ম্ম ধৰ্ম্ম বলিয়া চীৎকার করিলে চিত্তশুদ্ধি হয় না বা ধৰ্ম্মগ্রন্থের পাতা উল্টাইয়া কৰ্ত্তব্য শেষ করিলে ঈশ্বর প্রাপ্তি হয় না। হিন্দুর সনাতন ধৰ্ম্ম তাই ক্রিয়াযোগের সুৰ্যবস্থা দিয়াছেন। অতএব ইহা, অসাধারণতার অধীশ্বর হইবার যোগ্য কি না শ্রোতৃমণ্ডলী তাহার বিবেচনা করিবেন। পরাৎপর ব্ৰহ্মা প্ৰজা সৃষ্টি করিতে অভিলাষী হইয়া অতিশয়