পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ • 8२ ] চতুষ্পদ জন্তু বিশেষ গো শব্দের প্রতিপাদ্য ; তদ্রুপ ধারণশীল পদার্থ মাত্ৰ ধৰ্ম্ম না হইয়া, জগৎ রক্ষণসমর্থ সত্ত্বগুণোন্তাসিত প্ৰাকৃতিক নিয়মই ধৰ্ম্ম । যাহার অন্যথাভাব হইলে জগদ্বিপ্নত হয় তাহাই ধৰ্ম্ম । আমরা ধৰ্ম্ম বলিতে অনেকগুলি কথা প্ৰতিপাদ্যের অন্তভূত করিয়া থাকিলেও আপাততঃ শৌচ সদাচারকে ধৰ্ম্ম বলিয়া বুঝি । একজন হয়ত খুব চিতা ফোঁট। কাঢ়িয়া মুখে মন্ত্রেচিচ্চারণ করিতে করিতে দেবালয়ে ফিরাফিরী করিতেছেন, তাহ দেখিয়া সিদ্ধান্ত করা হইল, ইনি ধাৰ্ম্মিক। আর একজন হয়ত শৌচে নাই •5द्भि স্নাই অথচ চিত্তকে নিৰ্দবাত দীপাবৎ আকম্পিত রাখিয়। নির্বিকল্প সমাধিতে নিয়োজিত করিয়া জড়বৎ নিশচল নিস্তব্ধ । তাহা দেখিয়া স্থির করা হইল ইনি একটি অকৰ্ম্মা অলস ধৰ্ম্মাচরণে অসমৰ্থ পুরুষ। এরূপ সিদ্ধান্ত আজকাল ভুরি ভুরি দেখিতে পাওয়া যায় । ধৰ্ম্ম শব্দের সঙ্কীণ অৰ্থ গ্রহণ করায় আজকালকার এই অভিনব সিদ্ধান্ত শিক্ষিত সমাজে স্থান পাই, য়াছে । বাস্তবিক বলিতে গেলে ধৰ্ম্ম শব্দের সেরূপ সংকীর্ণ অর্থ গ্রহণ করিয়া আমরা স্ব স্ব কপোলকল্পিত এক একটি ধৰ্ম্মে যাহা গোঁড়ামি আরম্ভ করিয়া থাকি তাহাই আমাদের ধৰ্ম্মবিপ্লবের অন্যতম বিশিষ্ট কারণ । ব্ৰাহ্মণের সন্ধা-বন্দনাদি, ক্ষত্ৰিয়ের প্রজাপলিনাদি, বৈশ্যের কৃষি-গোরক্ষাদি ও শূন্দ্রের সেবাদি যেরূপ ধৰ্ম্ম, জলের শৈত্য, অগ্নির উত্তাপ, পৃথিবীর কাঠিন্যও তদ্রুপ এক একটা ধৰ্ম্ম । কিন্তু আমরা ব্ৰাহ্মণের